পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

সকল আদায় করা, রাজার কার্য্যে প্রজাদের অনুমতি প্রকাশ করা বা প্রত্যাহার করা এবং প্রয়োজন হইলে রাজাকে কার্য্যতঃ বাধা প্রদান করা, কুশাসন নিবারণ করা, অথবা দেশের প্রতিনিধিদের পক্ষে যে সব পথ খোলা আছে সেই সবের দ্বারা ঐরূপ শাসনের শেষ করা। কাহার পর কে রাজা হইবে সে বিষয়ে পৌর জানপদের সংযুক্ত অধিবেশনের পরামর্শ লওয়া হইত, ঐরূপ সংযুক্ত অধিবেশন রাজাকে সিংহাসনচ্যুত করিতে পারিত, যে বংশ রাজত্ব করিতেছিল তাহার বাহিরে অন্য ব্যক্তিকে সিংহাসন অর্পণ করিতে পারিত, রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট মকদ্দমায়, দেশদ্রোহিতায় বা বিচারবিভ্রাটে কখন কখনও দেশের উচ্চতম বিচারালয়রূপে বিচারকার্য্য করিতে পারিত। রাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজকীয় মন্তব্য এই সমিতিগুলিতে পেশ করা হইত, এবং বিশেষ টেক্সনির্দ্ধারণ, যুদ্ধ, যজ্ঞ, জলসেচনের বৃহৎ ব্যাপার এবং দেশের অন্যান্য অত্যাবশ্যক ব্যাপারে তাহাদের সম্মতি গ্রহণ করিতে হইত। এই দুই সমিতির অধিবেশন অনবরতই হইত বলিয়া মনে হয়। কারণ, প্রত্যহ রাজার নিকট হইতে নানা বিষয় তাহাদের সমীপে উপস্থিত হইত, তাহাদের কার্য্য রাজা রেজেষ্ট্রী করিয়া লইতেন, অমনই সেগুলি আইনরূপে বলবৎ হইত। বস্তুতঃ তাহাদের অধিকারসকল ও কার্য্যপরম্পরা