পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৭৩

সাধারণ সমিতিগুলি ছিল সেই সব নিম্নতন অনুষ্ঠানের ন্যায়। এই নিম্নতন অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে ছিল কুল ও গণ, পূর্ব্বে এইগুলির রাজনীতিক স্বরূপ ছিল, প্রাচীন কুলপ্রথামূলক জাতির এইগুলিই ছিল উচ্চতম শাসন-সমিতি। নূতন ব্যবস্থায় তাহারা বর্ত্তমান রহিল, কিন্তু তাহাদের উচ্চতম অধিকার সকল হারাইল, তাহারা কেবল নিম্নতন শক্তিরূপে সীমাবদ্ধভাবে তাহাদের অন্তর্গত সম্প্রদায়গুলির কার্য্যপরম্পরা নির্ব্বাহ করিতে পারিত। কুল তাহার রাজনীতিক ক্ষমতা হারাইবার পরেও বর্ত্তমান রহিল ধর্ম্ম ও সমাজবিষয়ক অনুষ্ঠানরূপে, বিশেষতঃ ক্ষত্ত্রিয়দের মধ্যে নিজের কুলধর্ম্ম (সামাজিক ও ধার্ম্মিক রীতিনীতির ঐতিহ্য) এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কুলসঙ্ঘও (সাম্প্রদায়িক সমিতি) বজায় রাখিল। দক্ষিণ-ভারতে যে-সব সাধারণ সমিতি সে-দিন পর্য্যন্ত প্রাচীন সাধারণ সমিতির স্থান অধিকার করিয়াছিল, কতকগুলি পাশাপাশি থাকিয়া কখনও একত্র কখনও বা স্বতন্ত্রভাবে কার্য্য করিত, সেইগুলি ছিল এইরূপ অনুষ্ঠানেরই প্রকারভেদ। রাজপুতনাতেও কুল তাহার রাজনীতিক স্বরূপ ও শক্তি পুনরুদ্ধার করিয়াছিল, কিন্তু অন্য ধরণে; প্রাচীন অনুষ্ঠানগুলি এবং তাহাদের সুমার্জ্জিত ব্যবহার আর ফিরিয়া আসে নাই, যদিও তাহা ক্ষত্রিয়ধর্ম্মোচিত সাহস, সৌজন্য,