পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

বিভিন্ন ভাবে যাজক, রাজকীয়, আভিজাতিক, ধনিক ও সাধারণতান্ত্রিক ধারা সকলের সামঞ্জস্যসাধন করিয়া এমন এক সমগ্রতার বিকাশ করিতে চেষ্টা করিয়াছে, যাহার উপরে ইহাদের কোন একটিরই বিশিষ্ট ছাপ পড়িবে না, তাহা কতকগুলা ঠেক-ঠাক দিয়া কিম্বা কোন মনগড়া থিওরি বা মতবাদ অনুসরণ করিয়া কেবল একটা বাহ্য মিটমাট বা মিশ্রণমাত্র হইবে না, পরন্তু তাহা হইবে জটিল বহুমুখী সমাজ-মন ও প্রকৃতির সহজাত সংস্কার ও স্বরূপের স্বাভাবিক বাহ্য প্রকাশ।

 আর একদিকে, ভারতীয় জীবনের বৈরাগ্য ও আধ্যাত্মিকতার সীমায় আমরা দেখিতে পাই, ধর্ম্মবিষয়ক সমাজ। আবার ইহাও কম্যুন্যাল রূপ গ্রহণ করিয়াছিল। আদি বৈদিক সমাজে চার্চ্চ বা ধর্ম্মসঙ্ঘ বা যাজক সম্প্রদায়ের কোনও স্থান ছিল না। কারণ, সে ব্যবস্থায় সমুদয় লোক ধর্ম্ম ও রাষ্ট্রবিষয়ে একীভূত সমগ্র জীবনে সংবদ্ধ ছিল, ঐহিক ও ধার্ম্মিক, যাজক ও সাধারণ ব্যক্তি, এরূপ কোনও ভেদ ছিল না এবং পরে নানামুখী বিকাশ হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুধর্ম্ম মোটের উপর, অন্ততঃ ভিত্তিরূপে, এই নীতিটিকেই ধরিয়া রাখিয়াছে। অন্য পক্ষে ক্রমশঃ সন্ন্যাসের দিকে বেশী বেশী ঝোঁক হওয়ার ফলে ধর্ম্মজীবনের সহিত ঐহিক জীবনের ভেদ করা হয়, এবং স্বতন্ত্র ধর্ম্মসঙ্ঘ গঠনের প্রবৃত্তি জন্মায়,