পাতা:ভারতে-ইংরাজ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ভারতে ইংরাজ । একজন মাত্র বেদোপনিষদে কৃতশ্রম দেখিতে পাই। অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে তাহারও অভাব ছিল। পাশ্চাত্য পণ্ডিত সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া, বেদের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলেনু, ভুল ভ্রাস্তি মজুম্ম মাত্রেরই সম্ভব –তাহা স্বত্বেও তাহীদের সত্যাজুসন্ধিৎসার ও উপ্তম উৎসাহের জন্ত র্তাহাদিগকে প্রশংসা না করিয়া থাকা যায় না । র্তাহারা আপন ভাষার বেদের অনুবাদ করিলেন, বেদোপনিষদগদি শাস্ত্রের উপদেশের সারবত্ত প্রত্যক্ষ করিলেন। তাহ দেখিয়? আমরা উদাসীন থাকিতে পারিলাম না। প্রাচীন শাস্ত্র গ্রন্থের প্রতি আমাদের আধুনিক শিক্ষিতগণের মধ্যে কাহার কাঙ্গর আস্থা জন্মিল, অনেকেই তাছার আদর করিতে অভ্যাস করিলেন। ইংরাজ বিশেষ না দেখিয়া কোন বিষয়ে আস্থ স্থাপন কবেন না, ইঙ্গ অনেকেই স্বীকাব কবিয়া থাকেন, অতএব ইংরাজ বলিলেন—গঙ্গাজলে কোন প্রকার রোগের জীবাণু নাই, অমনি আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় মধ্যে গঙ্গাস্নানের আগ্রহ জম্মিল, এত দিনতো আমব দেখিয়া আসিতেছিলাম গঙ্গার জল দীর্ঘকাল কোন শাখার মধ্যে থাকিলে তাহার বিকৃতি জন্মে না, ইহা দেখিয়া ও তো আমাদের আধুনিক শিক্ষিতের গঙ্গাজলে স্নান ও গঙ্গাজল পানের পক্ষপাতী হইতে পারেন না । তক্রপান সম্বন্ধেও তাহাই ঘটিয়াছে, আবার গোময়েব পূতি কারিতার কথা উঠিয়াছে। কালে তাহারও আদর হইবে, অমাবস্তা পূর্ণিমার রাত্রিতে যে গুরু ভোজন নিষিদ্ধ তাহা এক প্রকার স্থির হইয়া গিয়াছে বলিয়া অনেকেই তাহ পরিহার কৰিতেছেন"। হিন্দুর সকল কাজেই ধাৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ও পাপ বণ্যের দোহাই দেওয়া আছে। কালে হয় ত নবমীতে অলাৰু ভক্ষণ অস্বাস্থ্যকর ইহাও প্রতিপন্ন হইবে । এই জন্তই বলিতে হইতেছে হিন্দু ধন্মের সত্যাক্সসন্ধানে ইংরাজ আমাদিগকে যথেষ্ট সাহায্য কবিতেছেন। যোগ হিন্দুর ধৰ্ম্ম, হিন্দু ঋষিগণ ইছার উদ্ভাবনকৰ্ত্ত—কিন্তু আজি আমবা থিওসোফিষ্ট ( যোগ ধৰ্ম্মাবলম্বী ) হুইয়া ইংরাজের নিকট যোগাভাস শিক্ষা করিতেছি । যেরূপে হউক, যাহাকে দিয়া হউক আমরা যোগাভ্যাসী হইতেছি । ইংরাজ যোগাভ্যাসের (থিওসোফির ) পথ না দেখাইলে আমরা এখন যতগুলি থিওসোফিষ্ট হইয়াছি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া কি ততগুলি যোগধৰ্ম্মাবলম্বী হইতাম । শিল্প। ভারতের স্বল্প শিল্প বহুকাল হইতে দেশ বিদেশে সমাদৃত। রোমের বণিকের কাপাসস্থত্রনিৰ্ম্মিত স্বল্প বস্ত্র ও কোঁষেয় বাস এদেশ হইতে লইয়া গিয়া বহুমূল্যে আপনাদের দেশে বিক্রর করিতেন। কাশীয় স্বর্ণ সূত্র