পাতা:ভারতে-ইংরাজ.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ । 6: কপাট জানাল থাকিত নু । মজুরি ব্যতীত তাহাজের জীৰিকাত্তর ছিল না, মাসিক বেতন ছয় আনা হইতে আট আনা, আর খোন্নাকী বাৰত যৎকিঞ্চিৎ মিলিত । এখন তাহা তাহাদের দৈনিক বেতন। জমিদার, ধনী মহাজনদিগের ত কথাই নাই, সাধারণ গৃহস্থের এখন মাটর ঘরে বাস করিবার ইচ্ছা হয় না, কিছু সক্ষতি হইলেই ইষ্টকালয় প্রস্তুত করিতেছে । দরিদ্রলোকের চালাঘর ঘুচিয়াছে, তাহার দেওয়াল-দেওয়া ঘরে বাস করে, তাহাতে দরজা জানালী বলায়। ছিয়াত্তরে মন্ধস্তরের পর এদেশের একতৃতীয়াংশ জমি পতিত হইয়া যায়, দশশালা বন্দোবস্তের সময় সকল মহলেই খামার গোচর অনেক অনাবাদী জমি ছিল। এখন দরিদ্র লোকের অনেকেই কৃষিবৃত্তি অবলম্বন করিয়াছে, তাহারা পরের কাজ করেন। ৰলিয়া মজুর কমিয়া গিয়াছে, এজন্ত সকল গ্রানেই সাওতাল, কোল, বাউলী প্রভৃতির প্রয়োজন হইতেছে । অনাবাদী জমি এখন কোন গ্রামেই নাই । প্রজার অভাবে জমি পড়িয়া রহিল এমন কথা হুগলী, হাওড়া, বৰ্দ্ধমান জেলার মধ্যে কদাচ শুনিতে পাওয়া षद्मि । পানভোজন পাত্ৰাদি ঃ তখন আমাদের ভদ্রলোকের বাড়ীতে কি ছিল ? খেজুর পাতার চেটার উপর মাছর বিছাইহাই সকলকে শয়ন করিতে হইত, শীত নিবারণের জন্য সকল বাড়ীতেই লেপ ছিল বটে, কিন্তু কস্থার আদর বায় নাই। কৰ্ম্মকাজ উপলক্ষে পরের বাড়ী হইতে সপ, মাছর, শতরঞ্চ চাহিয়া আনিতে হইত, ভোজনপাত্র ছিল— বালেশ্বরের পাথর ও খোরা, পানপাত্র পিতলের ঘটী। কাসার থাল, গেলাস, বাটী সকল বাড়ীতে মিলিত না । সকল গৃহস্থের বাক্স, সিন্দুক ছিল না, বেতের পেড়াই সম্বল। কেহ দশ টাকা সঞ্চয় করিতে পারিলে, চোর ডাকাইতের ভয়ে মাটীর নীচে পুতির রাখিত। তখনকারকালে বড় বড় গৃহস্থগুহে মাটীর প্রদীপ মিট মিট করিয়া জ্বলিত । এখন দরিদ্রলোকের ঘরেও মাছর শতরঞ্চ দেখিতে পাওয়া যায়, গ্রীষ্মকালে তাহারাও মশারি খাটাইয়া শয়ন করে,—তাহাদের গৃহেণ্ডপিতলবর্ণসার পান ও ভোজনপাত্র হইয়াছে। তাহারাও টনের বাক্স, পেটরা ব্যবহার করে, সিন্দুক বাক্স মধ্যে টাকা পয়সা রাখিয়া নিৰ্ভয়ে নিত্রী বায়-কাহার কাছার বাউীতে ধানের মরাই বাধা । ধনীর গৃহে লোহার সিন্দুক । এখন অশলবসনে cগজনে, শয়নে, উপৰেশনে সকলেরই স্থখ। সকলের ঘরেই চিমনীৰ ভিতর আলো জ্বলে। ৰিবাহ মহোৎসবে, দেবতার পূজা অৰ্চনা উপলক্ষে ডুমচিমনীয়