পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ শাসন SS গণের অভিমতের বিরুদ্ধে ও জজ সাহেব তাহার নিজের বিশ্বাসানুসারে কাজ করিতে পারেন। জুরী ও জজের মতদ্বৈধ ঘটিলে মোকৰ্দমা বিচারার্থ হাইকোটে প্রেরণ করা হয়। জুরার ও “এসেসর’গণ নিরপেক্ষ লোক ; তাহারা স্বাধীনভাবে অভিমত প্ৰদান করিতে পারেন গবর্ণমেণ্ট এ ক্ষেত্রেও এই দেশবাসিগণের ক্ষমতা ও বিচার শক্তির উপর জটিল মোকৰ্দমার ভার ন্যস্ত করিয়া জনসাধারণের কৃতজ্ঞতা অর্জন করিয়াছেন । বিচারবিভাগে জিলার জজ সর্বময় কৰ্ত্তা । তিনি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটিগণের আপীলের ও বিচার করেন । প্ৰত্যেক জিলায় দেওয়ানী কাৰ্য্যের জন্য মুন্সেফ আছেন । তাহারা জমিদারের খাজনা বা ভূমি ও টাকার আদান প্ৰদান সম্বন্ধে সত্যাসত্যের বিচার করেন। জিলার জজের নিকট এই মুন্সেফ গণের বিচারের ও আপীল হইতে পারে । কাৰ্য্যের আধিক্য অনুসারে প্রতি জিলায় এক বা ততোধিক সাব-অডিনেট জজ নিযুক্ত হন। মুন্সেফ গণের আপীল তাহারাও শ্রবণ করিতে পারেন। জজের নিকট বড় বড় দেওয়ানী মোকৰ্দমা হইয়া থাকে। অনেক জিলাতে জজ সাহেব দায়রার বিচার করেন। কাৰ্য্যাধিক্য বশতঃ অবস্থাভেদে স্বতন্ত্র সেসন ( দায়রার ) জজ ও নিযুক্ত করা যাইতে পারে। জিলার মুন্সেফর সাধারণতঃ হাজার টাকার দাবীর দেওয়ানী মামলার বিচার ଔଞ୍ଚ ।