পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ শাসন R এক বিবরণ দিতে হয়। এই সময়ে তাহাকে ভারতের আয়ব্যয় সম্বন্ধেও এক হিসাব পালামেণ্টে দাখিল করিতে হয় । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনকাৰ্য্য পরিচালিত করিবার জন্য বিলাতে দুইটি ব্যবস্থাপক সভা আছে। জনসাধারণের প্রতিনিধি দিগের সভাকে “হাউস অফ কমন্স” বলা হয় এবং লর্ডদিগের ব্যবস্থাপক সভাকে “হাউস অফ লর্ডস” বলা হয়। এই দুইটি সভাই দেশের শাসনসম্পৰ্কীয় সর্বপ্রকার বিধিব্যবস্থা প্ৰণয়ণ করে । এই উভয় সভায় যাহা সিদ্ধান্ত হয় রাজাকে তাহতে সন্মতি দিতে হয় । রাজা পালামেণ্টের সদস্যদিগের মধ্য হইতে প্ৰধান মন্ত্রী মনোনীত করেন । যতদিন পৰ্য্যন্ত এই প্ৰধান মন্ত্রীর উপর “হাউস অফ কমন্সের” আস্থা থাকে ততদিন পৰ্য্যন্ত তিনি স্বপদে প্ৰতিষ্ঠিত থাকিতে পারেন। “হাউস অফ কমন্স” তাহার প্রতি আস্থাহীন হইলেই তাহাকে পদত্যাগ করিতে হত্য । তিনি পদত্যাগ করিলে বিভিন্ন প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীদিগকে সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করিতে হয় ; তখন রাজা আবার নূতন প্ৰধান মন্ত্রী মনোনীত করিয়া তাহাকে মন্ত্রিসভা গঠনের আজ্ঞা দেন। সম্রাটু এই পালামেণ্টের সাহায্যে ভারতবর্ষ শাসন করেন । ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষ বলিলে শুধু গবৰ্ণর জেনারেল কিংবা তাহার অধীন রাজপুরুষদিগের দ্বারা শাসিত ভারতবর্ষ বুঝায় না। প্ৰত্যুত পালামেণ্ট । দেশীয় রাজা ।