পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ শাসন VN) an করিয়াছেন। বৃক্ষেরও যে প্ৰাণ আছে,তাহারাও যে আমাদেরই মত সুখ-দুঃখ অনুভব করিতে পারে, এ কথা আমরা জানিতাম না-অন্ততঃ স্বীকার কবিতাম না । বিজ্ঞানাচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্ৰ বসু প্ৰত্যক্ষভাবে তাহা প্ৰমাণ করিয়া বিজ্ঞানজগৎকে স্তম্ভিত করিয়াছেন। আচাৰ্য্য প্ৰফুল্লচন্দ্র রায়ও রসায়নশাস্ত্রের নূতন ২ তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া জগতে অক্ষয় কীৰ্ত্তি অর্জন করিয়াছেন। বিজ্ঞানে অলৌকিক ক্ষমতা লাভ করিতে পারিলে যে প্ৰাকৃতিক জগতের উপর আধিপত্য বিস্তার করা যায়,তাহা ভারতবাসী এখন বুঝিতে পারিয়াছে। গৃহকাৰ্য্য, সামাজিক ব্যাপার, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়ামোদ প্ৰভৃতি সকল বিষয়ই বিজ্ঞান দিন দিন অদ্ভুত পরিবর্তন আনয়ন করিতেছে । তড়িৎ, শব্দ, আলোক, তাপ, প্রভৃতির মূলতত্ত্বের পর্য্যালোচনায় ও প্রয়োগে জগতের মহোপকার সাধিত হইয়াছে। এই সকল কঠিন বিষয়ে ভারতবাসী একপ্ৰকার অজ্ঞ ছিলেন বলিয়াই মনে হয়, অন্ততঃ বহুকাল পৰ্য্যন্ত তাহার এই সকল বিষয়ে জ্ঞানের কোন পরিচয় প্ৰদান করেন নাই । ইংরাজী শিক্ষা বিস্তারের পরেই এই সম্পর্কে এই দেশে নবযুগের সূত্রপাত হইয়াছে। আজ যে জগতে মানব অবলীলাক্রমে অসাধ্য সাধন করিাতেছে, অভূতপূর্ব ব্যাপার সম্পাদন করিয়া লোকের যথেষ্ট সুখসুবিধা করিয়া দিতেছে, বিজ্ঞানই তাহার মূল কারণ। সংক্ষেপে বলিতে হইলে বলিতে হয়, এ কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ পৃথিবীতে বিজ্ঞানই মানুষের প্রাণ । সুতরাং বিজ্ঞানের আলোচনা