পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Ayr ভারতে ইংরাজ শাসন ইহা দেখিলে ঈশ্বরের অপার সৃষ্টিকৌশল বুঝিতে পারা যায়। তখন মন বিস্ময়ে ও ভক্তিতে আপ্লত হয়। আমাদের দেশে নানা বন উপবন আছে। শিবপুরের উদ্যানে সেই সমস্ত বন উপবনের- বিবিধ বৃক্ষগুলোর একত্র সমাবেশ করা হইয়াছে । এই স্থানে গমন করিলে বুঝিতে পারা যায় উদ্ভিদ কত রকম হইতে পারে । পূর্বে আমাদের দেশে মুদ্রাযন্ত্র ছিল না। হস্তে লিখিয়া লোকের পুস্তক রচনা করিতে হইত। সুতরাং তখন শিক্ষাবিস্তার সীমাবদ্ধ ছিল । ইংরাজ পাদরীগণের চেষ্টায় ও উদ্যোগে এই দেশে প্রথম মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরে এদেশে বিভিন্ন প্রকার পুস্তক মুদ্রিত হইতেছে। ফলে অল্পদিনের মধ্যে শিক্ষা চারিদেকে বিস্তুত হইয়া পড়িয়াছে। মুদ্রাব্যন্ত্রের আর একটা দান সংবাদপত্র। এই দেশের প্রথম সংবাদপত্র “সমাচার দর্পণ” । শ্ৰীরামপুরের পাদরীগণ ইহা সম্পাদন করিতেন । ইহাতে ধৰ্ম্ম ও সমাজ সম্পৰ্কীয় নানাবিধ প্ৰবন্ধ থাকিত । তার পর দেশে যতই মুদ্রাব্যন্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, ততই সংবাদপত্র ও পুস্তকের সংখ্যাও বাড়িতে লাগিল। আজকাল এমন জিলা বা এমন মহকুমা নাই, যেখানে কোন মুদ্রাযন্ত্র বা কোন সংবাদপত্ৰ নাই । সংবাদপত্র দেশের অশেষ কল্যাণ সাধন করে । বাটানিকাল গাড়ে নি । भूष । সংবাদ পত্র ।