পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R " , ভারত-প্ৰতিভা ঠাকুর সদানন্দ। সর্বদাই আনন্দসাগরে ভাসমান। স্বয়ং সুকণ্ঠশ্রুতিধর। সঙ্গীতে স্বয়ংসিদ্ধ। কিশোর ঠাকুর প্রতিবাসী লাঙ্কাদের অতিথিশালায় সাধুসঙ্গ ও সাধুসেবায় কালব্যাপন করিতেন ; অবহিতচিত্তে যাত্রাগান ও কখকের মুখে রামায়ণ, মহাভারত, শ্ৰীমদ্ভাগবত প্রভৃতি পুরাণ শুনিতেন । এইরূপে তিনি প্ৰাক্তন-জন্ম-বিদ্যার অধিকারী হইলেন। লাহাবাবুদের বাড়ীতে শ্ৰাদ্ধ উপলক্ষে সমবেত নানা দিগেদশের পণ্ডিতমণ্ডলী সপ্ত-বৎসর-বয়স্ক ঠাকুরের মেধা ও বুদ্ধি-প্ৰাথৰ্য্য দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলেন। একাদশ বর্ষ বয়সে স্বগ্রামের সন্নিহিত জনশূন্য প্রান্তরে নীল আকাশে নীরদবরণী মায়ের অদ্ভুত জ্যোতি দর্শন করিয়া ঠাকুর বাহাজ্ঞানশূন্য হইয়াছিলেন। ইহাই তাহার প্রথম ভাবসমাধি । শৈশবেই ঠাকুরের পিতৃবিয়োগ হয়। অবস্থা স্বচ্ছল ছিল নাঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রামকুমার ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত ছিলেন, টোল করিয়া অধ্যাপনা করিতেন। ১৭৷৷১৮ বৎসর বয়সে ঠাকুর অগ্রজের সহিত কলিকাতায় আসিয়া কিছু দিন নাথের বাগানে, কিছু দিন ঝামাপুকুরে বাস করেন। ঠাকুরের অগ্রজ, তাহার বিদ্যা-চৰ্চায় অমনোযোগিতার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়াছিলেন—“যে বিদ্যায় চালকলা লাভ হয়, তাহা শিখিয়া কি হইবে ?” টোলের এক প্ৰান্তে বসিয়া তিনি নিশিদিন হরিগুণগান ও শ্যামাসঙ্গীতে আত্মহারা হইয়া থাকিতেন। এই সময় জানবাজারের রাণী রাসমণি ঠাকুরের অগ্রজের বিধানমত দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গাতীরে গুরুকে দিয়া কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। ঠাকুরের অগ্রজ কালীবাড়ীর পূজারী হইলেন। ঠাকুর মধ্যে মধ্যে দক্ষিণেশ্বরে