পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ } δύδ কথা ভাবিতে ভাবিতে রাধাকুণ্ডে ফিরিয়া আসিয়া স্বামীজী দেখিলেন, তাহার কৌপীনখানা যেখানে শুকাইতে দিয়াছিলেন, সেইখানেই পড়িয়া झञ्छ् ि। হাতরাস জংশন ষ্টেশনের একাংশে ক্ষুৎপিপাসাকাতর স্বামীজী উপবিষ্ট। সেইখানে তত্ৰত্য সহকারী ষ্টেশন-মাষ্টার শরচ্চন্দ্র গুপ্তের সহিত তাহার আলাপ হয়। শরৎবাবু সন্ন্যাসীকে সঙ্গে লইয়া নিজ বাসায় গমন করেন। সেখানে তঁাহার অনুরোধে স্বামীজী কয়েক দিন অবস্থান করেন । এই সময়ে শরৎবাবু স্বামীজীর সহিত আলাপ-পরিচয়ে এমনই মুগ্ধ হন যে, তিনিও সন্ন্যাসগ্রহণে অত্যন্ত আগ্ৰহ প্ৰকাশ করেন। স্বামীজী তঁহাকে সন্ন্যাসধৰ্ম্মের কঠোরতার বিষয় বিশেষরূপে বুঝাইয় তাহাকে “গৃহত্যাগ করিতে নিষেধ করেন ; কিন্তু শরচ্চন্দ্রের নির্বন্ধতিশয় দর্শনে অবশেষে তাহাকে শিষ্যত্বে “ বরণ করিতে বাধ্য হন । এই শরৎবাবুই উত্তরকালে “সদানন্দ স্বামী’ বা “গুপ্ত মহারাজ” নামে পরিচিত হইয়াছিলেন। স্বামীজী শিষ্যসহ ভিক্ষা করিতে করিতে হৃষীকেশে গমন করেন। তথায় কিছুদিন ধান-ধারণায় অতিবাহিত হইল ; কিন্তু আজন্ম সুখৈশ্বৰ্য্যে প্ৰতিপালিত শরচ্চন্দ্ৰ পথশ্রম ও অনিয়মে এখানে পীড়িত হওয়াতে স্বামীজী শিষ্যসহ হাতরাসে ফিরিয়া আসিলেন। গুরুভ্রাতৃগণ ঘটনাক্রমে তঁহার সংবাদ পাইয়া মঠে ফিরিয়া আসিবার জন্য তঁহাকে পত্র দ্বারা সনিৰ্ব্বন্ধ । অনুরোধ করিতে লাগিলেন। স্বামীজীর মনও তঁহাদিগকে দেখিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছিল। শিষ্যকে হান্তরাসে রাখিয়া তিনি বরাহনগরের মঠে ফিরিয়া আসিলেন। রোগমুক্ত হইয়া পরিশেষে শরচ্চন্দ্ৰও ঐ মঠে আসিয়া উপস্থিত হইলেন।