পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । । প্তাহার পূর্ণ চিত্র রাজপথের স্থানে স্থানে রক্ষিত হইল। পথচারিগণ শ্ৰদ্ধাসহকারে এই প্ৰাচ্য-সন্ন্যাসীর চিত্ৰকে নমস্কার করিয়া চলিয়া যাইত, কেহ কেহ। চিত্ৰ-সম্মুখে দাড়াইয় তাহার প্রতিভা প্ৰদীপ্ত অবয়বের প্রতি চাহিয়া থাকিত। প্রথম দিবসে অধিবেশন শেষ হইলে মার্কিণের জনৈক ধনকুবের বিবেকানন্দকে নিজের আলিয়ে নিমন্ত্ৰণ করিয়া লইয়া যান। একটি উৎকৃষ্ট সুসজ্জিত প্ৰকোষ্ঠ স্বামীজীর অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করিয়া গৃহস্বামী স্বয়ং তাহার সেবায় নিযুক্ত হন। সেই প্ৰকোষ্ঠটি যেরূপ বিলাসোপকরণের দ্বারা সজ্জিত, তাহা দরিদ্র ভারতবাসীর কল্পনারও অতীত। স্বামীজী আমেরিকার অতুল ঐশ্বৰ্য্য-বিভবের সহিত দরিদ্র ভারতবর্ষের তুলনা করিয়া বেদনা-ব্যথিতচিত্তে সমস্ত রজনী ভূমিতলে পড়িয়া “মা মা” করিয়া ক্ৰন্দন করিয়াছিলেন। মার্কিণিদিগের আগ্ৰহাতিশয্যা দেখিয়া স্বামীজী হিন্দুধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বক্তৃতা করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। ইহার ফলে অনেকেই হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি শ্রদ্ধান্বিত হইয়া উঠিলেন, কেহ কেহ তঁহার শিষ্যত্বগ্ৰহণ করিয়া সাধনভজনে মনোনিবেশ করিলেন। স্বামীজীর অসাধারণ গুণগ্রাম দর্শনে বিমুগ্ধ হইয়া বহু সন্ত্রান্তবংশীয় কুলনারী তাহার অনুরাগিণী হইয়া পৃড়িলেন। এমন কি, কেহ কেহ তঁহার পাণিপ্রার্থনাও করিয়াছিলেন। কিন্তু আজন্ম কামজয়ী পুরুষসিংহ কোনও প্রলোভনে বিচলিত হইলেন না। একটি অপূৰ্বরূপ-লাবণ্যবতী যুবতী স্বামীজীর চরণে রূপ, যৌবন, প্ৰভূত ঐশ্বৰ্য সমস্তই অৰ্পণ করিবার জন্য আকুল নিবেদন জানাইয়াছিলেন, কিন্তু জিতেন্দ্ৰিয় সন্ন্যাসিপ্রবর মধুরবাক্যে তঁহাকে নিরস্ত করিয়া বলিয়াছিলেন, “কল্যাণি, আমি সন্ন্যাসী, নিখিল ব্ৰহ্মাণ্ডের নারীমাত্রই अभिांश छमकी ।”