পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रेश्वंलु छिन्नद्र ! সমবয়স্ক ক্রীড়াসঙ্গীরা উচ্চহান্তে গগনােতল বিদীর্ণ করিয়া উপহাসের মাত্ৰা বাড়াইয়া দিত । বিদ্যার্জনের দিকে বাল্যাবধি ঈশ্বরচন্দ্রের প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। তিনি বিদ্যালয়ে প্রত্যহ যাহা শিখিয়া আসিতেন, রাত্রিকালে পিতার নিকট তাহার পরীক্ষা দিতেন। ব্যাকরণ শাস্ত্ৰে ঠাকুরদাস, একেবারে অনভিজ্ঞ ছিলেন। না। বিশেষতঃ প্ৰত্যহ পুত্রের সহিত পাঠ আলোচনায় তঁহার নিজেরও ব্যাকরণশাস্ত্র সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাইয়াছিল। ঠাকুরদাস পুত্রের পাঠাভ্যাস-বিষয়ে বিশেষ সতর্ক ছিলেন। পরের চাকরী করা সত্ত্বেও তিনি প্ৰত্যহ স্বয়ং রন্ধনাদি করিয়া পুত্ৰকে আহার করাইতেন ; রাত্রিশেষে পুত্রের পাঠ কিরূপ হইয়াছে, তাহার পরিচয় গ্রহণ করিতেন। নিজে তিনি অনেক উদ্ভট শ্লোক জানিতেন। ঈশ্বরচন্দ্ৰকে মুখে মুখে সেইগুলি শিখাইয়া দিতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা কোপন স্বভাব ; সুতরাং কঠোর শাসনের পক্ষপাতী ছিলেন । কোনও দিন বালক ঈশ্বরচন্দ্ৰ নিয়মিতকাল পৰ্য্যন্ত পাঠাভ্যাস না করিয়া যদি ঘুমাইয়া পড়িতেন, তবে আর র্তাহার নিস্তার থাকিত না । নিষ্ঠুরের ন্যায়ই পুত্রের অঙ্গে প্রহার করিতেন। এক এক দিন প্ৰহারের মাত্রা এতই বদ্ধিত হইত যে, সিংহ-পরিবারের সকলেই বিরক্ত হইয়া। ঠাকুরদাসকে তিরস্কার করিতেন। ক্রমে বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্রও সতর্ক হইয়া চলিতেন, পাঠাভ্যাসের সময় আর ঘুমাইয়া পড়িতেন না। কঠোরতম শাসনের পরিণাম প্রায়ই বিষময় ফল প্রসব করিয়া থাকে, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে ঈশ্বরচন্দ্রের জীবনে তাহ ঘটে নাই। ঈশ্বচন্দ্রের অধ্যয়নস্পৃহা দেখিয়া কলেজের অধ্যাপক, অত্যন্ত চমৎকৃত DBBBD S DBDB SDD BBD DB BBDS S DBDBDD