পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)切"R उiद्वड-कडिसi ভোগ-বিলাসে-বিগত-ম্পূহ ঈশ্বরচন্দ্রের একটি সখ ছিল “কবির গান” । কোথাও কবির গান হইতেছে শুনিলে তিনি সেইখানে উপস্থিত হইতেন এবং সাগ্রহে শেষ পৰ্য্যন্ত না শুনিয়া উঠিতেন না । “কবির গান” তিনি সংগ্ৰহও করিতেন। সংগৃহীত গানগুলি তিনি খাতায় লিখিয়া রাখিতেন । সেকালে ফুটবল বা ক্রকেট খেলার প্রচলন হয় নাই। ঈশ্বরচন্দ্ৰ কপাটি খেলিতেন। লাঠিখেলাতেও তাহার অনুরাগ ছিল। অলঙ্কার শ্রেণীর পাঠ শেষ করিয়া ১২৪৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্ৰ স্মৃতিশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন। এ সময়ে তঁহার বয়ঃক্রম সপ্তদশ বৎসর। এই অল্পবয়সে মাত্র ছয়মাস অধ্যয়নের পর তিনি স্মৃতির পরীক্ষা প্ৰদান করেন। তৎপরে ল-কমিটীর পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হন। উভয় পরীক্ষাতেই তিনি প্ৰশংসা লাভ করিয়াছিলেন। সমগ্ৰ স্মৃতিশাস্ত্ৰ ঈশ্বরচন্দ্রের নখদৰ্পণে ছিল । ল-কমিটির পরীক্ষায় উৰ্ত্তীর্ণ হইবার পর ত্রিপুরা জেলার জাজপণ্ডিতের শূন্যপদে নিযুক্ত হইবার জন্য তিনি আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ তঁহাকে সেই পদে নিযুক্ত করেন ; কিন্তু পিতা পুত্রকে সুদূর ত্রিপুরাজেলায় পাঠাইতে সম্মত হইলেন না । পিতৃভক্ত ঈশ্বরচন্দ্ৰ অগত্যা সে সঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন। তারপর বেদান্ত শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিবার বাসনা হৃদয়ে জাগ্রত হইল। মনোযোগ সহকারে ঈশ্বরচন্দ্ৰ বেদান্ত অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন। এই সময় প্ৰতিযোগী পরীক্ষায় গদ্য রচনা করিয়া তিনি একশত মুদ্রা পারিতোষিক লাভ করেন। এই সময়ে ঠাকুরদাস ঋণজালে জড়িত হইয়া পড়িয়াছিলেন, ঈশ্বরচন্দ্রের মধ্যম ভ্ৰাতা দীনবন্ধুর বিবাহে বিশেষ ঋণী হইয়াছিল। তৃতীয় ভ্ৰাতা শম্ভুচন্দ্রও অধ্যয়নাৰ্থ কলিকাতায় আসিয়াছিলেন। ঠাকুরদাস ঋণমুক্ত