পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামতনু লাহিড়ী । ૨ર খরিয়াছিল। তাঁহার জ্যেষ্ঠপুত্র নবকুমার মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়ন- । কালে যক্ষ্মারোগে পীড়িত হন। তঁহার সেবা করিয়া দ্বিতীয় কন্যা ইন্দুৰ ? মতীও উক্তরোগে আক্রান্ত হন। লাহিড়ী মহাশয় চিকিৎসার ক্ৰেটী করেন, নাই; কিন্তু ভবিতব্যতা অলঙ্ঘ্যনীয়। কিছু দিন পরে পরম স্নেহাম্প্রদা কন্যা । তঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। রামতনু এত বড় শোকের : আঘাত কিরূপ ধীরতার সহিত, সহা করিয়াছিলেন, তাহা অনুকরণের } যোগ্য। বাহিরে তঁহার চক্ষে এক বিন্দু শোকাশ্ৰী কেহ দেখৈ নাই বা একটা হা-হুতাশ করিতে কেহ শুনে নাই। পার্থের কক্ষে জ্যেষ্ঠপুত্ৰ নবকুমার রোগশয্যায় রহিয়াছে, পাছে শোক করিলে তাহার প্রাণে । অধিকতর বিষাদের ছায় পড়ে, তাহার সেবায় ক্ৰটী ঘটে, এজন্য পত্নীকে আত্ম-সংযম করিতে বলিয়া স্বয়ং অসাধারণ সহিষ্ণুতার সহিত কন্যা- ? বিয়োগের তীব্র যন্ত্রণাকে জয় করিয়াছিলেন। l, ভগবানের উপর রামতনুর কি অগাধ বিশ্বাসই ছিল ! তাহার সকল । কাৰ্য্যই মঙ্গলজনক বলিয়া লাহিড়ী মহাশয় দৃঢ়তার সহিত বিশ্বাস করি।- " তেন। সেই জন্য কিছুকাল পরেই যখন নবকুমারও স্বর্তাহাকে ত্যাগ করিয়া । চলিয়া গেলেন, তখন কি অপূর্ব সহিষ্ণুতা ভরেই তিনি সে নিদারুণ আঘাতকে সহ্য করিয়াছিলেন। যে দিন নবকুমারের মৃত্যু হয়, সেই দিন । লাহিড়ী মহাশয়ের ভবনে সাপ্তাহিক ধৰ্ম্মালোচনা সভার অধিবেশন ছিল। . যুবকবৃন্দের কেহই নবকুমারের মৃত্যুর কথা অবগত ছিলেন না। পার্শ্বস্থা কক্ষে তখনও শিব রহিয়াছে, সৎকারের আয়োজন তখনও হয় নাই। । নির্দিষ্ট কক্ষে যুবকেরা প্ৰবেশ করিতে যাইতেছেন দেখিয়া, বৃদ্ধ রামতনু তাহাদিগকে আসিয়া প্রশান্ত ভাবে বলিলেন, “বড় ভুল হয়ে গেছে। । তোমাদের সংবাদ দেওয়া হয় নাই, আজ ত এখানে সভার অধিবেশন : ;