পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। set বঙ্কিমচন্দ্রের সর্বগুণালঙ্কত প্ৰথমা পত্নী জ্বর।রোগে প্ৰাণত্যাগ করিলেন । , যশোহরে আসিয়া দীনবন্ধু মিত্ৰ মহাশয়ের সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম আলাপ ঘটে। উভয়েই পরস্পর পরস্পরের পরিচয় জানিতেন । “প্ৰভাকরে” উভয়েরই রচনা প্ৰকাশিত হইত। প্ৰথম আলাপের পরই উভয়ের মধ্যে প্রগাঢ় সৌহার্দ জন্মে। দীনবন্ধুবাবু বঙ্কিমচন্দ্ৰ অপেক্ষ আট নয় বৎসরের বড় ছিলেন বটে ; কিন্তু তাহাতে উভয়ের মধ্যে প্রীতির বন্ধন श्लू5 श्cड cकान७ अडिदककि वह नाई। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের পৌষমাসে বঙ্কিমচন্দ্ৰ মেদিনীপুর জেলার নাগোয়াতে বদলী হন। নাগোয়া সমুদ্রের অনতিদূরেই অবস্থিত। এই সময়ে বঙ্কিমচন্দ্ৰ তাহার প্রিয়তমা সহধৰ্ম্মিণীকে হারাইয়া অত্যন্ত শোকাভিভূত হইয়া পড়েন। এদিকে বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্ৰজযুগল কনিষ্ঠকে পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করিবার জন্য চেষ্টা করিতেছিলেন ; কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র আট মাস কাল তাহাদিগের অনুরোধে কৰ্ণপাত করেন নাই ; কিন্তু তাহার পিতা-মাতা যে দিন তঁহাকে আদেশ করিলেন যে, তঁহাকে পুনরায় বিবাহ করিতে হইবে, পিতৃমাতৃ-ভক্ত বঙ্কিমচন্দ্ৰকে নতশিরে সে আদেশ প্রতিপালন করিতে হইয়াছিল। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের জুন মাসে তিনি পুনরায় দারপরিগ্রহ করেন। এই অশেষগুণশালিনী পত্নী তাহার জীবনাকাশে ধ্রুবতারাস্বরূপ সমুদিত ছিলেন। , নাগোয়া হইতে বঙ্কিমচন্দ্র খুলনায় বদলী হন। সে সময়ে খুলনা জেলায় দম্বতস্করের ভীষণ উপদ্রব্য, নীলকরদিগের অমানুষিক অচ্যাচার। * সেই ঘোরতর অরাজকতার মধ্যে আসিয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰকে অত্যন্ত বিত্ৰত