পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যারীচঁাদ মিত্ৰ । Ritę সতীর্থ ও বন্ধু রসিককৃষ্ণ মল্লিকের সহিত তিনি একযোগে “জ্ঞানান্বেষণ” নামক পত্রিকা সম্পাদন করিয়া তাহাতে গবেষণা-মূলক প্ৰবন্ধাদি লিখিতেন। রামগোপাল ঘোষ “বেঙ্গল স্পেকটেন্টার” নামক সংবাদপত্রের প্রচার করিলে প্যারীচাঁদ তাহাতেও প্ৰবন্ধ লিখিতেন। এই পত্রে তিনি নিয়মিতভাবে প্ৰবন্ধ রচনা করিতেন। অন্যান্য সংবাদপত্রেও তঁহার রচনা প্ৰকাশিত হইত। “কলিকাতা রিভিউ” নামক ইংরাজী পত্রে.একবার প্যারীচঁাদ জমিদার ও প্ৰজা সম্বন্ধে একটি গবেষণা-মূলক প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন। বিলাতে এই প্ৰবন্ধ লইয়া বিশেষ আলোচনা ঘটে। পালামেণ্টে কমন্স মহাসভায় এই প্ৰবন্ধের কথা বিশেষভাবে আলোচিত হয় । ইংরাজী সাহিত্যে প্যারীচাঁদের প্রভূত অধিকার ছিল সন্দেহ নাই। এজঙ্গ যথেষ্ট প্রতিষ্ঠাও তিনি লাভ করিয়াছিলেন। মাতৃভাষার সেবায় BB BBD BBDDBD SDBSS DBDDDB BBD DL yD LDD করিয়া তিনি যুগান্তর আনয়ন করিয়াছিলেন। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিস্তুসাগর ও অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় যখন সংস্কৃত সাহিত্যের আদর্শে নুতন বাঙ্গালা সাহিত্য গঠিত করিয়া এক নবযুগ আনয়ন করিলেন, সে সময়ের বঙ্গ-সাহিত্য সংস্কৃত বহুল ছিল। ভাষা তাহাতে মনোজ্ঞ ও শ্ৰীসম্পন্ন হইয়াছিল বটে ; কিন্তু অলঙ্কােরাধিক্য উহা সাধারণ পাঠকের পক্ষে, বিশেষতঃ সংস্কৃতে অনভিজ্ঞ শিক্ষিত বাঙ্গালীদিগের নিকট অত্যন্ত দুৰ্ব্বোধ বলিয়া বোধ হইতে লাগিল । প্যারীচাঁদ লোক-প্রচলিত সহজ কথ্য-ভাষায় “মাসিক পত্রিকাশ নামক একখানি ক্ষুদ্রকায় পত্রিকা বাহির করিয়া সাধারণ পাঠকগণকে