পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rtro ভারত-প্ৰতিভা জুলালের” উল্লেখ শ্ৰদ্ধা-সহকারে করিতে হইবে। বাঙ্গালার প্রথম ঔপন্যাসিকের লেখনী হইতে যে অমৃত-উৎস উচ্ছসিত হইয়াছিল, তাহার সিন্ধ ধারা চিরদিনই বাঙ্গালীর হৃদয়কে সরস করিয়া রাখিবে। কে বলে মানুষের মৃত্যু হয় ? এমন কীৰ্ত্তি যিনি রাখিয়া যাইতে পারেন, তিনি ত অবিনশ্বর, অনাদিৰকালস্থায়ী । যিনি সৰ্ব্বক্ষণ লোকের “মনের মন্দিরে নিত্য পূজা৷” পাইয়া থাকেন, তাহার পবিত্ৰ নাম স্মরণ করিলেও পুণ্য জন্মে। উনবিংশ শতাব্দী বাঙ্গালার ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। এই শতাব্দীতে যাহারা জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহদের অধিকাংশই অসাধারূণ ধীশক্তিসম্পন্ন পুরুষসিংহ ছিলেন । বাঙ্গালার ইতিহাসের ধারা তাহাদের দ্বারাই নূতন খাতে প্রবাহিত হইয়াছিল। এই সকল মহাপুরুষের মধ্যে-প্যারীচাঁদের আসন বড় গৌরবের, বড় আদরের। সহজ সরল কথায় কেমন করিয়া মনের ভাব ব্যক্ত করিতে হয়, তাহা প্যারীচাদই প্ৰথম বাঙ্গালীকে শিখাইয়াছিলেন । “আলালী ভাষা” বলিয়া শিক্ষিত সম্প্রদায়ের কেহ কেহ ব্যঙ্গোক্তি প্ৰকাশ করিলেও সে ভাষা উপেক্ষণীয় নহে । যদিও প্যারীচঁাদ পরিণামে সে ভাষা পরিণত বয়সের রচনা-সম্ভারে ব্যবহার করেন নাই, তথাপি সে ভাষাকে বাঙ্গালী শ্ৰদ্ধা করিয়া থাকে { কারণ, উহাই বাঙ্গালায় প্রথম উপন্যাসের রসমাধুৰ্য্যপূর্ণ সহজবোধ্য ঔ मीर्दछन्मद दक्रिब्जिा उछाषा ।