পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্ৰতিভা তন্ন । ১১ই মাঘ সমাজের কাৰ্য্য আবম্ভ হয়। এই সময় রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের নেতৃত্বে মতিলাল শীল, দেওয়ান রামকমল সেন প্ৰভৃতির সমবায়ে হিন্দুদিগকে স্বধৰ্ম্মে আস্থােবান বাখিবার জন্য একটি ‘ধৰ্ম্মসভা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। রামমোহনের তিন বিবাহ । প্ৰথম বালিকা পত্নীর বিয়োগেব। পর তিনি বৰ্দ্ধমানের পলাশী গ্রামে দ্বিতীয়বার ও ভবানীপুরে তৃতীয়বার বিবাহিত হন। তাহার দুই পুত্র ;-রাধাপ্ৰসাদ ও বিমাপ্রসাদ । ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে নবেম্বর মাসে দিল্লীর সম্রাঢ় বামমোহনকে রাজা উপাধি দিয়া রাজসমীপে সম্রাটেল বৃত্তিবৃদ্ধি প্ৰভৃতি কতকগুলি বৈদায়িক ব্যাপাবের আবেদন করিবার জন্য তাহাকে হ’ল, ও প্রেরণ করেন । য়ুরোপের সৌন্দৰ্য-সন্দর্শন, দেশবাসিগণেব ধৰ্ম্মনীতি, বাজনীতি, আচার ব্যবহারের সহিত সুপবিচিত হইবাব জন্য রামমোহন বহুদিন হইতে বিশেষ উৎসুক ছিলেন। তাহার উপর প্রিভি কাউন্সিলে সতীদাহ-নিবাবণের বিরুদ্ধে হিন্দগণের আপীল-বিচােব এবং ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ভারত শাসনেব নূতন সনন্দ-গ্ৰহণ উপলক্ষে পার্লিয়ামেণ্টের বিচাবে ভারতের ভাশুভ-নির্ণয় প্রভৃতি রাজনীতিক ব্যাপারে উপস্থিত থাকিবাব জন্য তঁহার বিশেষ বাসনা ছিল। ১৮৩১ খৃষ্টাব্দে ৮ই এপ্রেল ‘আলি বিয়ান” জাহাজে রামমোক্তন ব্রিষ্টলে উপনীত হন । ইনিই হিন্দুদিগের বিলাত-গমনের প্রথম পথ-প্ৰদৰ্শক। বিলাতের ইউনিটেরিয়ান’ সম্প্রদায় তাহাকে প্ৰকাশ্য সভায় বিশেষভাবে অভ্যর্থনা করেন । তৎকালীন শ্রেষ্ঠ ইংরেজ পণ্ডিতগণ র্তাহার সহিত বিচার ও ধৰ্ম্মালোচনা করিয়া তঁহার গভীর জ্ঞান, ধৰ্ম্মশাস্ত্রে পণ্ডিত্য ও অতুলনীয় বিচারশক্তি দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছিলেন। প্ৰসিদ্ধ আইরিস কবি মুরের