পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S& , ভারত-প্ৰতিভা । শৈশবে দেবেন্দ্ৰনাথ পিতামহীর ধৰ্ম্মনিষ্ঠা ও ভক্তিমাধুরীতে আকৃষ্ট হইয়া দেবদেবীর ভক্ত হইয়াছিলেন-উপনয়নের পরে ভক্তিনম্রচিত্তে গৃহবিগ্ৰহ শালগ্ৰামশিলার পূজা দেখিতেন। প্রত্যহ সিদ্ধেশ্বরীকে প্ৰণাম করিয়া হিন্দু কলেজে যাইতেন-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার জন্য বর প্রার্থনা করিতেন। সহসা একদিন অনন্ত উন্মুক্ত আকাশ দেখিয়া তাহার ভাববিপৰ্য্যয় ঘটিল। তিনি লিখিয়াছেন—“শুভক্ষণে যখন এই অনন্ত আকাশের উপর আমার নয়নযুগল নিক্ষিপ্ত হইল, তখনই আমার জ্ঞান উল্মীলিত হইয়া মনের পৌত্তলিক ভাবকে ক্ষণকালের মধ্যে তিরোহিত করিয়া দিল ।” রাজা রামমোহন দেবেন্দ্ৰনাথকে বড় ভালবাসিতেন-স্বহস্তে ফল খাওয়াইতেন, বাগানের দোলনায় দেবেন্দ্রনাথকে চাপাইয়া দোলাইতেন ; বিলাতযাত্রার সময় সাদরে করমর্দন করিয়া বিদায় লইয়াছিলেন। তাহাতে দেবেন্দ্রনাথের শরীরে উৎসাহের বিদ্যুৎপ্রবাহ বহিয়াছিল । রাজা রামমোহনের বিলাতযাত্রায় ব্ৰহ্মসভার প্রতিভা-প্ৰদীপ নিৰ্ব্বাণোন্মুখ হইতেছিল। পণ্ডিত রামচন্দ্ৰ বিদ্যাবাগীশের অসাধারণ একাগ্রতায় দ্বাদশ বৎসর সভাটি নামমাত্র রক্ষা পাইয়াছিল। সভায় শ্ৰীকৃষ্ণ, বামচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি ঈশ্ববেব পূর্ণ অবতাব প্ৰতিপন্ন কবিবােব জন্য বক্তৃত। হাইতি) , বেদপাঠ্যকালে ব্রাহ্মণ ব্যতীত অন্য ব্যক্তি উপস্থিত থাকিতে পারিতেন না । বাহ্মসভােব এই অবস্থান্তর-সময়ে যেন কোন দৈব বিধানবশে সূর্বক দেবেন্দ্ৰনাথ হহার নেতৃত্ব গ্ৰহণ করিলেন । দেবেন্দ্ৰনাথ কাহারও मिरुि िअंक्रा काझन्म माझे अश्म \ ঠুহা’র মনে অন্তর্নিহিত ধৰ্ম্মভাব জাগিয়া উঠিয়াছিল। ষোড়শবর্ষ বয়সে