পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शैन्युंकू द्धि । vect, পদবৃদ্ধি হয়। উড়িষ্যা বিভাগের ইন্সপেক্টং পোষ্টমাষ্টার হইয়া তিনি সেই অঞ্চলে গমন করেন । বৎসরের অধিকাংশ কালই তেঁাহাকে মফঃস্বলের নানাস্থান পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া বেড়াইতে হইত। নানাস্থানের জল-বায়ুর দোষে ক্রমে তাহার শরীর অসুস্থ হওয়ায় তিনি উড়িষ্যা বিভাগ হইতে নদীয়া বিভাগে প্রেরিত হন । এই জেলায় কিছুকাল কাৰ্য্য করিবার পর তিনি ঢাকা বিভাগে গমন করেন । এই সময় বঙ্গদেশ নীলকরগণের অত্যাচারে জর্জরিত হইয়া উঠিয়াছিল। ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে নদীয়া ও যশোহর প্রভৃতি জেলার প্রজাবর্গের সাহিত নীলকর সাঙ্কে বগণের ঘোরতর বিবাদ ঘটে । প্ৰজাগণ ধৰ্ম্মঘট কেরিয়া প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিল, তাহারা মরিবে, তথাপি নীলের আবাদ করিবে না। দীনবন্ধু কৰ্ম্মসুত্রে তৎপূর্বে বহু নীলকর-প্ৰপীড়িত স্থানে ভ্ৰমণ করিয়া প্ৰজাসাধারণের অনন্ত দুৰ্গতি-কষ্ট স্বচক্ষে দর্শন করিয়াছিলেন। “হিন্দু পেটুয়ট” পত্রে স্বদেশী-হিতৈষী হরিশ্চন্দ্ৰ ওজস্বিনী ভাষায় সে সময় প্রজাবর্গের দুর্দশার যে সকল করুণ, লোমহর্ষক চিত্র অঙ্কিত করিতেছিলেন, দীনবন্ধু তাহার অধিকাংশ অনুরূপ ব্যাপার স্বচক্ষে অবলোকন করিয়াছিলেন। প্ৰজাগণের দুঃখ-দুৰ্দশার কথা স্মরণ করিয়া সে সময় স্বদেশভক্তমাত্রেরই হৃদয়ে ক্ৰোধবহ্নি জ্বলিয়া উঠিয়াছিল । স্বদেশভক্ত, স্বজাতিবৎসল দীনবন্ধুর করুণহৃদয় প্রজার হৃদয়ের এ শেলাঘাতে নিদারুণ বেদন অনুভব করিল। তিনি “নীল-দৰ্পণ” লিখিবার জন্য লেখনী ধারণ করিলেন। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে ঢাকা হইতে “নীল-দৰ্পণ” প্রকাশিত হইল। বঙ্গদেশে হুলস্থূল পড়িয়া গেল, সমগ্ৰ বঙ্গ চকিত হইয়া উঠিল। কিংবদন্তী, বাঙ্গালা সরকারের প্রধান