পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V3 ভারত-প্ৰতিভা স্থানে বিদ্যালয় ও দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হইল। ইহার পর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বিজয়কৃষ্ণকে উপাচাৰ্য্যের পদে ব্ৰতী করেন, এবং উপচার্ষের বৃত্তি-নিৰ্দ্ধারণের ব্যবস্থা করিলে, বিজয়কৃষ্ণ অর্থের বিনিময়ে ধৰ্ম্মবিক্রয় প্রভৃতি কারণ দর্শাইয়া সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। । ১২৭১ সালের ২০শে আশ্বিন প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে কলিকাতায় মহা- ? প্ৰলয় ঘটে-বৃক্ষগৃহাদি নিপতিত হয়, জলময় রাজপথে নৌকা চলে, অগণন মৃতদেহ ভাসিয়া যায়, সেই ভীষণ দুৰ্য্যোগের দিনে কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ বিজয়কৃষ্ণ সাতার দিয়া উপাসনা-মন্দিরে গিয়া একাকী ব্ৰহ্ম উপাসনা করিয়াছিলেন। বিজয়কৃষ্ণ, কেশবচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি নবীন ব্ৰাহ্মগণের উপবীতত্যাগী না হইলে কেহ উপাচাৰ্য হইতে পরিবেন না, এবং জাতিভেদ প্রথা তুলিয়া দিয়া অসবর্ণবিবাহ ও বিধবাবিবাহ প্ৰচলন প্ৰভৃতি প্ৰস্তাব করিলে নবীন ও প্ৰাচীন ব্ৰাহ্মগণের মধ্যে প্ৰবল মতবিরোধ হয় । কেশবচন্দ্ৰ, বিজয়কৃষ্ণ প্রভৃতি আদি ব্রাহ্মসমাজ পরিত্যাগ করিয়া ভারতবষীয় ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত করেন, এবং ভারতের সর্বত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-প্রচারে প্রবৃত্ত হন। এই প্রচার-কাৰ্য্যে বিজয়কৃষ্ণ কেশবচন্দ্রের প্রধান সহায় হইয়াছিলেন। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের ইতিবৃত্তে প্ৰকাশ,-“জ্বলন্ত প্ৰাণ লইয়া, ভগবৎকৃপা সহায় করিয়া, বিজয়কৃষ্ণ প্রচার ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। বর্ষাতরঙ্গে উচ্ছসিত গিরি-তরঙ্গিণী যেমন প্রবলবেগে উভয় কুল ভাসাইয়া লইয়া যায়, মহোৎসাহে সমুজ্জ্বসিতপ্ৰাণ বিজয়কৃষ্ণ ব্ৰহ্মনামে সেইরূপ দেশদেশান্তর ভাসাইয়া লইয়া চলিলেন। * তঁহার উৎসােহপূর্ণ, প্ৰেমোদীপ্ত, একত্বময়, জীবন্ত প্ৰাণের মহাপ্রচার দর্শন করিয়া লোকে মুগ্ধ হইল ; প্তাহার অনলবর্ষা, মৰ্ম্মস্পৰ্শ, অমৃতােপম মধুর বাণী শ্ৰবণ করিয়া