পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । ” উপস্থিত দেখিয়া বালক নরেন্দ্রনাথ পাশ কাটাইয়া নৌকা হইতে নামিয়া পড়িলেন। দলের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বাপেক্ষ বয়ঃকনিষ্ঠ ছিলেন। নিতান্ত বালক বোধে মাঝিরা তঁহাকে কিছু বলিল না। নরেন্দ্রনাথ দেখিতে পাইলেন, দুইজন ইংরাজ সৈনিক রাজপথের উপর দিয়া যাইতেছে। বালক দ্রুতপদে তাহদের নিকট উপস্থিত হইয়া অভিবাদনানন্তর তাহদের হস্তধারণ করিলেন। দুই চারিটি ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরাজী কথায় ও ইঙ্গিতে সৈনিকযুগলকে তিনি ব্যাপারটি বুঝাইয়া দিয়া ঘটনাস্থলের দিকে তঁহাদের আকর্ষণ করিয়া লইয়া গেলেন। প্রিয়দর্শন ক্ষুদ্র বালকের ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া সৈনিকযুগল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া ব্যাপারটা কি, বুঝিতে । পারিল। পল্টনের গোরার উদ্যত “বেন্ত্রণযষ্টি ও ভীষণ গৰ্জনে ভীত হইয়া মাঝিরা চাণক্যনীতি অবলম্বন করিল। নরেন্দ্রনাথের সহচরীগণ মুক্তি পাইল । ভূতপূর্ব ইংলণ্ডেশ্বর, ভারত-সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড ষে বৎসর প্রিন্স অব ওয়েলস্রূপে ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন, তখন নরেন্দ্রনাথ দশ এগার বৎসর-বয়স্ক বালক মাত্ৰ। ‘সিরাসিপ’ নামক একখানি বৃহদাকার ইংরাজ রণতরী সেই সময় কলিকাতার বন্দরে আসিয়াছিল। কর্তৃপক্ষের আদেশ-পত্ৰ সংগ্ৰহ করিয়া বহু ব্যক্তি উক্ত রণতরী দর্শন:- করিতে যায়। স্বভাবজাত কৌতুহলবশে নরেন্দ্রনাথও সহচরীগণ সহ উক্ত রণতরী-দর্শনের জন্য একখানি আবেদনপত্ৰ সহ চৌরঙ্গীস্থিত কাৰ্য্যালয়ে উপস্থিত হইলেন । বালক তথায় আসিয়া দেখিলেন যে, বিশেষ গণ্যমান্য ও সম্রান্ত ব্যক্তি ব্যতীত দ্বারবান অন্য কাহাকেও কাৰ্যালয়ে প্রবেশ করিতে দিতেছে না। নরেন্দ্রনাথ আরব্ধ। কাৰ্য্য অসমাপ্ত রাখিতে বাল্যাবধিই অভ্যন্ত ছিলেন। না। যেরূপেই হউক, কাৰ্যোদ্ধার করা ভঁাহার চরিত্রের অঙ্গীতম বিশেষত্ব। তিনি দেখিলেন, দ্বাররক্ষক তঁহাকে ভিতরে প্রবেশ করিত্রে দিৱে, না । ,