জানিতেছ না। ধিক্! পামর ভারত সন্তানগণকে ধিক্! তখন এইরূপ ও অন্যরূপ কত প্রকার বলিতে লাগিলাম, সকল এক্ষণে স্মরণ হয় না। কিন্তু কাহাকে বলি, কে শুনে, সকলেই অন্ধ ও সকলেই বধির।
অনন্তর ক্ষণকাল পরেই একটা হাহাকার ও করুণ রব শুনিতে পাইলাম। যেন সকলেই বলিতেছে উঃ প্রাণ যায় প্রাণ যায়। ক্ষুধায় প্রাণ গেল, কোথায় যাই কোথায় গেলে এ ক্ষুধার শান্তি হয়। এইরূপ বলিতেছে ও যে যাহা পাইতেছে অবিকৃত চিত্তে খাইতেছে, সকলি একাকার, খাদ্যাখাদ্যের কিছুই বিচার নাই, ব্রাহ্মণ শূদ্র চণ্ডাল যবন প্রভৃতির কিছুই বিশেষ নাই, কাহারো মনে ধর্ম্ম ভয় নাই, কোন ব্যক্তিরই সদাচারে প্রবৃত্তির লেশমাত্র নাই এবং এক জনেরও সৎকর্ম্মে মতি নাই। কেবল সুরাপানে সকলের চক্ষু সততই জবাবর্ণ ও সকলেই উন্মত্ত এবং সকলেই যথেচ্ছাচারী। সকলেরই আকার বিশ্রী বিবর্ণ ও শীর্ণ, হঠাৎ দেখিলে তাহাদিগকে পিশাচ বলিয়া ভয় হয়, অস্পৃশ্য ও অখাদ্য ভোজন ও অপেয় পান করিয়াও তাহাদিগের মহা ক্ষুধার শান্তি ও পিপাসার নিবৃত্তি হইতেছে না, কেবল