পাতা:ভারত দীধিতি - দীননাথ দাস চন্দ.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারত দীধিতি

উপস্থিত হইলাম। দেখিলাম পর্ব্বত পূর্ব্ব ও পশ্চিম দিকে ক্রমশঃ বিস্তীর্ণ হইয়া ভারতবর্ষকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া ঈশ্বরের অলৌকিক কার্য্যেরই পরিচয় দিতেছে। পর্ব্বতের মধ্য ও উপরি ভাগে বিচিত্র মনোহর তরু ও লতাকুঞ্জ আছে এবং মধ্যে মধ্যে নানা বর্ণের পরম রমণীয় মসৃণ শিলা সকল পতিত রহিয়াছে এবং নিম্নস্থ চতুর্দ্দিকের মাঠ সকল ধূ ধূ করিতেছে। হঠাৎ বোধ হয় কোথায় আইলাম, একে আষাঢ়ান্ত বেলা তাহাতে আবার সমস্ত দিন অনাহার, শরীর নিতান্ত ক্লান্ত ও ঘর্ম্মাক্ত হইয়াছে, চরণ আর চলে না, তখন অনতিদূরস্থিত এক অসভ্য পর্ব্বতবাসীর কুটীর হইতে তৎসময়োচিত যৎকিঞ্চিৎ ফল মূল ভক্ষণ ও জল পান করিয়া কথঞ্চিৎ সুস্থ হইলাম। দেখিলাম দিবা অবসান প্রায়, দুই এক দণ্ড বেলা আছে মাত্র। ভগবান দিন-মণি-অস্তাচলের উন্নত চূড়া অন্বেষণ করিতেছেন, মহিষ ও গাভী প্রভৃতি পশুগণ কবল পরিত্যাগ করত ঊর্দ্ধ মুখে গ্রামের দিকে ধাবমান হইতেছে। পক্ষিগণ কলরব পূর্ব্বক শ্রেণীবদ্ধ হইয়া আপন আপন অভিমত নীড় প্রদেশে গমন করিতেছে। এবং ক্রমে সন্ধ্যা-