উদ্দেশ্যে আমার স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছি এবং আত্মসম্মান বজায় রাখতে পেরেছি, এই কথা ভেবে মনে গভীর আত্মপ্রসাদ অনুভব করছিলাম। আমি যে অন্যায় কিছু করিনি সে সম্বন্ধে আমার কোনো সংশয়ই ছিল না।
১৯১৬ সালের এই ঘটনাবলীর অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতটি সে সময়ে আমার কাছে ধরা পড়েনি। আমাদের অধ্যক্ষ কলেজ থেকে আমাকে বিতাড়িত করলেন বটে, কিন্তু ঘটনাচক্রে ব্যাপারটা আমার পক্ষে শাপে বর হয়ে দাঁড়াল। আমার ভবিষ্যৎ পন্থা পরোক্ষে তিনিই বাতলে দিলেন। সংকটের সময়ে আমি নির্ভয়ে আমার কর্তব্য পালন করেছি—এই কথা ভেবে নিজের প্রতি আমার বিশ্বাস জন্মাল। এই আত্মবিশ্বাসের জোরেই ভবিষ্যতে বহু সংকট, বহু, সমস্যা আমি পার হয়েছি। তাছাড়া এই ঘটনা উপলক্ষেই প্রথম আমি নেতৃত্বের স্বাদ পেলাম। এবং নেতাদের যে কী পরিমাণে আত্মত্যাগ করতে হয় সে সম্বন্ধেও খানিকটা ধারণা হল। এক কথায়, জীবনযুদ্ধের জন্য আমি বেশ তৈরি হয়ে উঠলাম।