পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পরিশিষ্ট

সুভাষচন্দ্রের চিঠি

মায়ের প্রতি সুভাষচন্দ্রের যে প্রগাঢ় ভক্তি ছিল, তার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যাবে প্রভাবতী দেবীকে লেখা তাঁর এই চিঠিগ‍ুলিতে। মায়ের প্রাণে এইসব চিঠি কী বিশেষ ভাবের সঞ্চার করেছিল কে জানে, মৃত্যুদিন পর্যন্ত এই চিঠিগুলি তিনি হাতছাড়া করেননি, অন্তিমশয্যায় বিভাবতী দেবীর (শরৎচন্দ্রের স্ত্রীর) কাছে গচ্ছিত রেখে যান। অল্প বয়েসেই যে আশ্চর্য পরিণত ও ধর্মপিপাসু মন ছিল সুভাষচন্দ্রের তার অকাট্য প্রমাণ মেলে এই চিঠিগ‍ুলিতে। সবস‍ুদ্ধ নয়খানা চিঠি আছে এই সংকলনে, দুঃখের বিষয় প্রত্যেকটাই তারিখবিহীন। তবে হিসেব করে রচনাকাল নির্ণয় করা কঠিন নয়। এই চিঠিগুলি সুভাষচন্দ্র যখন লিখেছিলেন তখন তাঁর বয়েস ছিল পনেরো থেকে ষোলো। কারণ, দ্বিতীয় চিঠিতে দেখবেন মেজদা শরৎচন্দ্রের বিলাত যাওয়ার উল্লেখ আছে। শরৎচন্দ্রের কাছ থেকেই আমরা জানতে পাই তিনি প্রথম বিলাতমাত্রা করেন ১৯১২ সালে। এবং যেহেতু সুভাষচন্দ্রের জন্মকাল ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি, সেহেতু এই চিঠিগ‍ুলি সুভাষচন্দ্র যে পনেরো থেকে ষোলো বছর বয়েসে লিখেছিলেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে।

বালক সুভাষচন্দ্রকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছিল সারদ্যমে

১৫৮