পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Sebo ) ভারত বিহিত সাহিত মনের ঐক্য করিয়া থাকেন। তৎকালে শ্রোত্র দ্বারা শব্দ, ত্বক দ্বারা স্পৰ্শ, চক্ষু দ্বারা রূপ, জিহবা দ্বারা রস এবং নাসিকা দ্বারা গন্ধ অনুভব করেন না। ফলত তাহারা ধ্যানপ্রভাবে সমুদায় ইন্দ্ৰিয়কাৰ্য্য, পরিহার করিয়া” থাকেন। যাহারা শ্রোত্র প্রভৃতি পঞ্চ ইঞ্জিয়কে ব্যাকুলিত করে, সেন্টু শব্দাদি বিষয় সকল অনুভব করিতে র্তাহাদিগের আর অভিলাষ হয় না'। , ২৬৩। বিচক্ষণ ব্যক্তি শ্রোত্ৰাদি পাঁচ ইন্দ্রিয়কে “মনোমধ্যে সন্নিবেশিত করিয়া উহাদের সহিত উদ্ভান্ত চিত্তকে স্থিরীকৃত করবেন। মন সৰ্ব্বদাই বিষয়সঞ্চারে ব্যাপৃত ও অস্থির বিষয়ে নিত্য নিমগ্ন থাকে। পঞ্চ ইন্দ্ৰিয় উহার পঞ্চ দ্বারস্বরূপ ; অতএর মনকে সৰ্ব্বাগ্রে ধ্যানমার্গে অতি প্ৰযত্নসহকারে সমাহিত করিবে । সেই পঞ্চেন্দ্ৰিয়সম্পন্ন জীবের ষষ্ঠ, অঙ্গভূত মন এইরূপে নিরুদ্ধ হইলেও মেঘমধ্যে বিদ্যুৎপ্রকাশের ন্যায় বার স্বার বিষয় গ্রহণে স্ফরিত হইয়া থাকে। পত্ৰস্থ সলিলবিন্দু যেমন পত্রের মধ্যে থাকয়াও অতিশয় চঞ্চল হয়, তদ্রুপ জীবের মান ধ্যানমার্গে অবস্থান করিয়া ও অতিমাত্র চপলভাবে ধারণ করে। যদিও, মনকে ধ্যানপথে কিছুমাত্র স্থির করা যায়, কিন্তু উহা নাড়ীমার্গে প্রবেশ করিলে পুনরায় অতিশয় উদ্ভান্ত হইয়া উঠে। ঐ সময় ধ্যান যোগবিশারদ মহাত্মা আলস্য ও নিৰ্বেদ পরিত্যাগপুৰ্ব্বক মৎস্বরবিবর্জিত छछेम्रा थानziङ{cद পুনরায় মনঃসমাধান করিবেন। । যোগী ৰীক্তি যোগানুষ্ঠান আরম্ভ করিলে প্ৰথমত তোহার বিচার, বিতর্ক ও বিবেক নাম সমাধি উপস্থিত হয়। মন নিতান্ত কাতর হইলেও একাগ্ৰতা অবলম্বন পূর্বক আপনার হিতসাধন করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য। যোগী ব্যক্তির যোগবিষয়ে নিৰ্ব্বোদযুক্ত হওয়া কোনক্রমেই বিধেয় নহে। পাংশু, ভস্ম ও শুষ্ক গোময়ের রাশিতে জল নিক্ষেপ করিবামাত্র উহা কদাপি সম্পূর্ণরূপ আর্দ্র হয় না, উহাতে যেমন অনেকক্ষণ জলসেক করিতে করিতে উহা ক্রমশ আৰ্দ্ধ হইতে থাকে, তদ্রুপ ইন্দ্ৰিয়গ্রামকে ফ্রমশ ঘণীভূত করা আবশ্যক। এইরূপে মন ও ইন্দ্ৰিয় সকলকে ধ্যানপর্থে অবস্থানপূর্বক ক্ৰমে ক্ৰমে প্ৰসন্ন করিতে : পারিলে পরিণামে উহাদের ও. আত্মার সম্পূর্ণরূপে শান্তি লাপ্ত হয়। মন ও ইন্দ্ৰিয়গণের শান্তিলাভ হইলেই যোগী অনায়াসে স্বয়ং। শান্তি লাভ করিতে পারেন। যোগিগণ যোগ প্রভাবে , যেরূপ সুধিলাভ করিদ্ধা থাকেন, অন্যান্য ব্যক্তি দৈব বা পুরুষকার দ্বারা কদাচ