পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( δ δx ) ভারত বিহিত আছে । শাস্ত্র। নুসারে কাৰ্য্য সত্বাদি ত্ৰিবিধ গুণাত্মক, এই নিমিত্ত কাৰ্য্যমূল মন্ত্র ও তিন প্রকার, এবং বিধিও শুিন প্রকার নির্দিষ্ট হইয়াছে। যে ব্যক্তি যে রূপ গুণানুযায়ী, কৰ্ম্ম করে, তাহারে তদনুরূপ ফল ভোগ করতে হয়। উৎকৃষ্ট শব্দ, রূপ, রস, স্পর্শ ও গন্ধ জ্ঞানরূপ কৰ্ম্মফল সমুদায়ােক স্মলভ্য স্বৰ্গলোকেই ‘অনুভূত হইয়া থাকে ; কিন্তু জ্ঞান ফল জীবদ্দশাতৃে লাভ করা যায়। দেহিগণ শরীর দ্বারা যে কার্যের অনুষ্ঠান করে, তাহাদিগকে পুনৰ্ব্বীর দেহ 1রণ করিয়া সেই কাৰ্যোর ফল ভোগ করিতে হয়। শরীরই লোকের সুখ :খের আশ্ৰয় । বাক্য ও মন দ্বারা কাৰ্য্যানুষ্ঠান করিলে কখনই বাক্য মনের �05|5% পদার্থ লাভের সম্ভাবনা নাই । যে ব্যক্তি যে গুণাবলম্বী হইয়া কৰ্ম্মানুষ্ঠান করে, তাহারে তদনুরূপ শুভ বা অশুভ ফল ভোগ করিতে হয় । মৎস্য যেমন স্রোতাভিমুখে ধাথমান হয়, তদ্রুপ জন্মান্তরীণ কৰ্ম্ম সমুদায় মানুষ্যের নিকট আগমন করিয়া থাকে। সকল লোককেই পূৰ্ব্বজন্মাজিত সুকুতানুরূপ সুখ ও দুস্কৃতানুরূপ দুঃখ ভোগ করিতে হয়। ২৭০ । যিনি সমুদায় জগতের সৃষ্টিকৰ্ত্তা এবং মন্ত্র ও ‘শব্দ দ্বারা অপ্রকাশিত, সেই পরাৎপর বিবিধ রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শ ও রূপ হইতে পৃথগভূত হইয়াও ' প্ৰজাগণের নিমিত্ত ঐ সমুদ্ৰায়ের স্বষ্টি করিয়াছেন। তিনি অব্যক্ত, বর্ণহীন ও গুণাতীত ; তাহারে স্ত্রী, পুরুষ বা নপুংসক অথবা পরমাণু, শূন্য বা মায়াময় বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে না ; কোন কালেই তঁহার ংস নাই ; জি তচিত্ত জ্ঞানবান মহাত্মারাই সেই অক্ষয় পদার্থ লাভ করিতে পারেন । ২৭১ । সেই অবিনাশী পুরুষ হইতেই আকাশ, আকাশ হইতে বায়ু, বায়ু ঈইতে জ্যোতি, জ্যোতি হইতে জল, জল হইতে এই জগৎ এবং জগৎ হইতে জগতীস্থ সমুদায় পদার্থ উৎপন্ন হইয়াছে। এই ভূমণ্ডলস্থ যাবতীয় শরীরীর পার্থিব শরীর সমুদায় চরমাবস্থায় প্রথমত সলিলে, সলিল হইতে তেজে, ভেজ হইতে পাবনে ও পবন হইতে অন্তরীক্ষে গমন করে। তন্মধ্যে যাহারা অন্তরীক্ষকে ও অতিক্ৰম করিয়া পরমাত্মায় লীন হইতে পারেন: তাহfদেরই মোক্ষলাভ হয়। সুতরাং তঁাহারা আর প্রতিনিবৃত্ত হুন না’। ‘ পরমাত্মা উষ্ণ, শীত, মৃদু বা তীক্ষ্ম নহেন; তিনি আম, কষায়, মধুর ওঁ তিক্তত্বাদি গুণ