পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ মালা । ( δ δδ ) বি ব্রাজিত হইলেই যোগ সমাধিসহ কারে ব্ৰহ্মজ্ঞান উপস্থিত লয় । সলিল যেমন পৰ্ব্বতশৃঙ্গ হইতে নিৰ্গত হইয়া প্রবাহিত হইতে থাকে, তদ্রুপ ইন্দ্ৰিয়জ্ঞানসম্পন্ন বৃদ্ধি অজ্ঞানান্ধকার হইতে নির্গত হইয়া রূপাঢ়ি গুণগ্ৰামে প্রবাহিত शय्र ! যখন সেই বুদ্ধিতে নিগুণ ধ্যেয় বস্তু প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, সেই সময় নি । ধন্থ গুপ্ত স্বৰ্ণরেখার স্যার অসন্দিগ্ধরূপে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইয়া থাকে। মন কেবল ইঞ্চিয়গৈাচর রূপার সাদির (প্ৰবোধক, উহা দ্বারা রূপাদি গুণবিহীন রাহ্ম লাভ করা সম্ভাবিত নহে। সমুদায় ইন্দ্ৰিয় বোধ করিয়া উহাদিগকে কল্পনাত্মক মনে ও মনকে বুদ্ধিতে অবস্তানপূর্বক একাগ্ৰতা অবলম্বন করিলেই ব্রহ্মের উপলব্ধি হয়। যেমন শব্দাদি গুণ সমূদায় বিলুপ্ত 'হাইলে পঞ্চীকৃত মহাভূত সকল বিলুপ্ত হয়, তদ্রুপ বুদ্ধি অহঙ্কার তত্ত্বে বিলীন হইলে ইন্দ্ৰিয়গণ ৭ বিলীন হইয়া ણિ ! যখন নিশ্চয়াত্মক বৃদ্ধি অঙ্ক ঙ্কারে অবস্থান করে, তখন মনীের সহিত উস্থার কিছুমাত্র বিভিন্নতা থাকে’ না। অহঙ্কার ধ্যান প্রভাবে উৎ কাৰ্যলাভ করিয়া, রূপা দি বিষয়ের সঠিত স প্লাদি মূল প্ৰকৃতি প্রাপ্ত হইলেই গুণাত্মক, সামগ্ৰী সমুদায় পরিত।াগপূর্বক নি গুণ বস্তু লাভ করিতে পারে। অব্যান্সের স্বরূপ কীত্তন করা নিতান্তু দুঃসাধ্য। তপস্যা, অনুমান, শমদমাদিগুণ, "বেদান্ত শ্রবণ ও বিশুদ্ধ মনোবৃত্ত- দ্বারা পরম প্ৰহ্মকে ‘জানিতে বাসনা করা সকলেরই কীৰ্ত্তব্য। তত্ত্বনাশী ব্যক্তিরা , সেই আতঁর্কনায় আনন্দস্বরূপ পরমব্ৰহ্মকে কি বাহা কি অস্তরে সর্বত্রই অনুসন্ধান করিয়া থাকেন। হুতাশন যেমন অপ্ৰতিহতবেগে কাষ্ঠে পরিভ্রমণ করে, তদ্রুপ বুদ্ধি ও শব্দাদি বিষয়ের উপর পরিভ্রমণ করিয়া থাকে। যখন সেই বুদ্ধিবৃত্তি বিষয় বাসনাবিহীন হয়, তখনই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইয়া থাকে, আর যখন বিষয়বাসনায় বিলিপ্ত হয়, তৎকালে ঐ জ্ঞান তিরোহিত হইয়া যায়। সুমুপ্তিকালে ইন্দ্ৰিয়সমুদায় যেমন স্ব স্ব কাৰ্য্য হইতে বিমুক্ত হইয়া भै बह्रान করে, তদ্রুপ আনন্দস্বরূপ পরমব্ৰহ্ম সৰ্ব্বদা সকল কাৰ্য্য হইতে বিমুক্ত হইয়া অবস্থান করিতেছেন । মানবগণ অজ্ঞানবশত কৰ্ম্মে প্রত্নত্ত্ব হইতেছে; উহাদের মধ্যে যাহার, কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত হয়, তাহারা মোক্ষলাভ করিয়া থাকে ; আর যাহারা উহাতে আসক্ত থাকে, তাহারা স্বৰ্গগমনে সমর্থ হয়। জীব, প্রকৃতি; বুদ্ধি, * রূপরসাদি, ইঞ্জিন্ম, অহঙ্কার ও অভিমান এই সমুদায়ই বিনশ্বর পদার্থ। ঐ