পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত বিহিত ( ܘ ܓ݁ܶܠ ) সমস্ত পদার্থের প্রথম সৃষ্টি ঈশ্বর হইতে হইয়াছে। তৎপরে ঐ সমস্ত সৃষ্ট পদার্থ হইতেই আবার সৃষ্টি হইয়া আসিতেছে। ঐ রূপ পদার্থ সমুদায়ের ধৰ্ম্মপ্রভাবে ‘’ শ্রেশ্ন ও অধৰ্ম্ম প্রভার্বে অমঙ্গলা লাভ হইয়া থাকে । বিষয়াসক্ত ব্যক্তিরা মরণের পর পুনরায় জন্ম পরিগ্রহ করে এবং বীতস্পৃহ ব্যক্তিরা আত্মজ্ঞান প্রভাবে এক বারে মুক্তিলাভ করিয়া থাকেন । ২৭৫ ৷ শব্দাদি পঞ্চ গুণের সাহােত পাঁচ ইন্দ্ৰিয়, মন ও বুদ্ধিরে সংযত করিতে পারিলেই আত্মারে মণিমধ্যে নিহিত সুত্রের ন্যায় দৰ্শন করিতে পারা যায়। আর সুত্র যেমন সুবৰ্ণ, মুক্তা, প্ৰবাল, রজত ও মৃন্ময় বস্তুতে নিহিত থাকে, তদ্রুপ আত্মা স্বীয় কৰ্ম্ম প্রভাবে গো, অশ্ব, মনুয়ু, হস্তা, মৃগ, কাট ও পতঙ্গ প্রভৃতি যোণিতে আশ্ৰয় গ্ৰহণ করে । “ যে প্ৰাণী যে দেহ লাভ করিবার নিমিত্ত যে কায্যের অনুষ্ঠান করে, সে সেই দেহ প্রাপ্ত হইয়৷ সেই কাৰ্য্যের ফল ভোগ করিয়া থাকে। বুদ্ধি অস্ত রাত্মা কত্ত্বক পরিচালিত হইয়া ও আপনার পুৰ্ব্বকৃত কন্মের অনুসরণ করে । জ্ঞান হহাতে অনুরাগ, অনুরাগ চাইতে অভিসন্ধি, অভিসন্ধি হহঁতে কাৰ্য্য ও কাৰ্য্য হইতে ফল উৎপন্ন হয়। এই নিমিত্ত ফল কৰ্ম্মসংস্কৃত, কৰ্ম্ম বুদ্ধি সস্তৃত, বৃদ্ধি জ্ঞানসস্তুত ও জ্ঞান আত্মসদ্ভুত বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। দেহ ও অঃ স্নার ভেদজ্ঞান, ফণী, বুদ্ধি ও কন্মের ক্ষয় হইলে যে দিব্যজ্ঞান জন্মে, তাহাই ব্ৰহ্মজ্ঞান। যোগিগণ মুক্তি লাভ করিয়া নিত্যসিদ্ধ পরমপদার্থকে দশন করিতে পারেন ; বিষয়াসক্ত নিৰ্ব্বোধেরা কখনই তঁহার দর্শন লাভে সমর্থ হয় না । পৃথিবী হহঁতে জল, জল হইতে তেজ, তেজ হইতে বায়ু, বায়ু হইতে আকাশ, আকাশ হইতে মন, মন হইতে বুদ্ধি, বুদ্ধি হইতে কাণ ও কাল হইতে জগৎকৰ্ত্তী ব্ৰহ্মরূপ ভগবান বিষ্ণুর সমধিক মহত্ত্ব বিদ্যমান রহিয়াছে। ঐ ব্ৰহ্মরূপী ভগবান অনাদি, অমধ্য ও BDkDD BB BDBD B DBDDBDB BD KLDD S DD DDDDS KBB S সুতরাং উহা কদাচ অঁাহারে স্পৰ্শ করতে সমর্থ হয় না। তিনিই পরমব্ৰহ্ম ও পরমপদ বলিয়া নিদিষ্ট হইয়া,থাকেন। মুমুক্ষু ব্যক্তিরা তাহারে অবগত ও বিষয় হইতে নিবৃত্ত হইয়া পরমপদ মুক্তিপদ লাভ করেন। নিবৃত্তিই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ধৰ্ম্ম । যে ব্যক্তি ঐ ধৰ্ম্ম পরিজ্ঞাত হইতে পারে; সে নিঃসন্দেহ মোক্ষলাভে नभर्थ श् ।