পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ মালা । ( ) (8 ) বলিয়া নানা প্রকার বিবাদ করিয়া থাকেন; কিন্তু তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তিরা পরমব্ৰহ্মকেই সমুদায় কাৰ্য্যের কারণ বলিয়া কীৰ্ত্তন করেন । ১৩১৬ । মানুষ্যেরা তপস্যা দ্বারাই মোক্ষলাভ করিতে পারেন । মন ও ৰাহেন্দ্ৰিয় নিগ্রহই তপস্যার মূল। মনুষ্য বিশুদ্ধসত্ত্ব হইয়া তপোধলেই সমুদায় কামনা • পূর্ণ করিতে পারে। তপস্যা দ্বারাই জগৎস্রষ্টা জগদীশ্বরকে প্রাপ্ত হওয়া যায়। যে ব্যক্তি তপোবলে সেই পরব্রহ্ম লাভ করিতে পারেন, তিনিই সকলের প্রভু হইয়া থাকেন। মহর্ষিগণ তপোবলেই দিবানিশি বেদ অধ্যয়ন করিয়া থাকেন। সৃষ্টির প্রথমে জগদীশ্বর আদ্যন্তশূন্য বোদরূপা বাত্ময়ী বিদ্যার স্বষ্টি করিয়া তাহা হইতে ঋষিদিগের নাম, দেবগণের সৃষ্টি, প্ৰাণিগনের নানারূপ কাৰ্য্য প্ৰবৃত্তির যন্ত্র সমুদায়ের নাম কল্পনা করিয়াছেন । লোক সমুদায় সেই বেদশাস্ত্র অবলম্বন করিয়াই কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইতেছে। বেদশাস্ত্ৰে বেদাধ্যয়ন, গাৰ্হস্থ্য, তপস্যা নিত্যকৰ্ম্ম, নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম, যজ্ঞ, পুষ্করিণী' প্রতিষ্ঠাদি, ধ্যান, ধারণা ও সমাধি এই দশবিধ জীবের মুক্তি লাভের উপায় যথাক্রমে কথিত হইয়াছে। বেদ ও বেদান্তে বেদজ্ঞ পণ্ডিতে র্যাহায়ে পরব্রহ্ম বলিয়া নিরূপণ করিয়াছেন, তিনি উক্ত দশবিধ উপায় দ্বারাই প্ৰত্যক্ষ হইয়া থাকেন।” “ দেহাভিমানী জীবগণ কাৰ্য্য দ্বারা সুখদুঃখযুক্ত ভেদবুদ্ধি প্রাপ্ত হয় ; কিন্তু তত্ত্বজ্ঞানী পুরুষ বলপূর্বক উহা পরিত্যাগ করিয়া মুক্তিলাভ করিতে পারেন । বেদ ও বেদ প্ৰতিপাদ্য পরব্রহ্ম উভয়ই পরিজ্ঞাত হওয়া, আবশ্যক। যে ব্যক্তি বেদশাস্ত্ৰ বিশেষরূপে অবগত হইতে পারেন, তিনিই অনায়াসে পরব্রহ্ম লাভে সমর্থ হন। ব্ৰাহ্মণের ব্ৰহ্মোপাসনা, ক্ষত্ৰিয়ের দেবগণের তৃপ্তিসাধনার্থ পশুহিংসা, বৈশ্যের দেব দ্বিজের তৃপ্তিসাধনোদেশে শস্যোৎপাদন ওঁ শূদ্রের তিন বর্ণের উপাসনাই যজ্ঞ বলিয়া নির্দিষ্ট আছে। সত্যযুগে যজ্ঞানুষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল না। ত্ৰেতাযুগেই যজ্ঞানুষ্ঠান করা বিধেয় বলিয়া, পরিগণিত হইয়াছে। দ্বাপরে যজ্ঞের নাশ হইতে আরম্ভ হইয়াছে। কলিতে আর য়ুজ্ঞের সম্পর্ক ও* থাকিবে না। সত্যযুগে মানবগণ অদ্বৈতনিষ্ঠ হইয়া ঋক্‌ সাম যজুৰ্ব্বেদোক্ত কাম্য षङं नमूलानि পরিত্যাগপূর্বক কেবল যোগবল আশ্রয় ক্ষরিয়াছিলেন। ত্রেতাযুগে যে সমস্ত পরাক্রান্ত ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহারাই স্থাবরঙ্গঙ্গম সমুদায় প্রাণীর শাসন করিয়া গিয়াছেন। তৎকালে,