পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > a4 ) ভারত বিহিত ংসর্গে লিপ্ত হয়, তাহা হইলে পুণ্যাত্মা ব্যক্তিরাও আত্মার সহিত সাক্ষাৎকারলাভে সমর্থ হন না ; কিন্তু যখন মনঃপ্রভাবে সেই ইন্দ্ৰিয় সমুদায়কে সংযত করা হয়, তখনই প্ৰদীপ প্ৰভায় প্ৰকাশিত পদার্থের ন্যায় আত্মা প্ৰকাশিত হইয়া থাকে। ১ জলচর পক্ষী যেমন সলিল মধ্যে সঞ্চরণ করিয়া ও সলিলে নির্লিপ্ত থাকে, তদ্রুপ দেহাভিমানপরিশূন্য জ্ঞানবান যোগী বিষয় ভোগ করিয়াও কখন বিষয়দোয়ে লিপ্ত হন না। যাহারা পূৰ্ব্বকৃত কাৰ্য্য সমুদায় পরিত্যাগ করিয়া, কে বল, পরমাত্মার প্রতি অনুরক্ত হন, যাহাদিগের বিষয়বাসনা কিছুমাষ্ট্র নাই এবং র্যাহারা সমুদায় জীবের প্রতি সমভাবে দৃষ্টি করেন, তাহাদিগের বুদ্ধি বিষয়বাসনা বিস্তার না করিয়া কেবল জ্ঞানকেহ বিস্তার করিয়া থাকে । আত্মা গুণের, পারদর্শক ও নিয়ন্ত বলিয়া গুণ দমুদায় কখন আত্মারে অবগত হইতে , সমর্থ হয় না, কিন্তু আত্মা উহাদিগকে অনায়াসেই অৱগত হইয়া থাকে, প্রকৃতি ও পুরুষ এই উভয়ের এইমাত্র বিভিন্নতা'যে, প্রকৃতি বিষয় সমুদায়ের স্বষ্টি বিধান করিয়া থাকেন; কিন্তু পুরুষ ঐ সমুদায়ের সৃষ্টিকাৰ্য্যে ব্যাপৃত হন না। যেমন জুল ও মৎস্য পরস্পর বিভিন্ন হইলে ও একত্র মিলিত থাকে, তদ্রুপ প্রকৃতি ও পুরুষ, স্বভাবত স্বতন্ত্র হইলে ও পরস্পরপরস্পরের সাহায্যসাপেক্ষ হইয়া একত্র অবস্থান করিয়া থাকেন । , ৩৪৩। বিন - গন্ধ ও রসাদভোগে অনুরাগ বা উহার প্রতি রাগদ্বেষ ' প্ৰকাশ না করেন এবং কত্তি ও সম্মান লাভে র্যাহারী কিছুমাত্র বাসনা নাই, তিনিই যাথাথ ব্লাহ্মজ্ঞ । কেবল ঋক্, যজু ও সামাদ বেদাধ্যয়ন, গুরু শুশ্রুষাও ব্ৰহ্মচর্য্যের অনুষ্ঠান করিলেই ব্ৰাহ্মণ বলিয়া পরিগণিত হইতে পারা যায় না। যিনি জীবের প্রতি দয়াবান, সৰ্ব্বজ্ঞ সমুদায় বেদবেত্ত হইয়া মৃত্যুরে বশীভূত করিতে সমর্থ হন, তিনিই যথাৰ্থ ব্ৰাহ্মণ। যথার্থ বিধ পরিত্যাগ করিয়া কেবল নানা প্রকার ভূরিদক্ষিণ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিলেই ব্ৰাহ্মণ্য লাভ হয় না। যাহা হইতে কোন প্রাণী ভীত না হয়, যিনি স্বয়ং কোন প্ৰাণীরে ভয় না করেন, ধ্যাহার কিছুতেই স্মৃহ বা দ্বেষ থাকে না এবং যিনি কায়মনোবাক্যে কাহার ও অনিষ্টাচারুণ করেন না, তঁহারই যথার্থ ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইয়া থাকে । ইহ; BBDD BDBD DDDB DDS DB BD DBDDD BBBD BDD S SBBBDBD BBBDBk কখনই মোক্ষলাভে আঁধিকারী হইতে পারে না। ব্ৰহ্মজ্ঞ ব্যক্তির সমুদায় বাসন?”