পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ মালা। ( ৩১৯ ) ঐ চারিটির মধ্যে অন্যন্তরের অভাব উপস্থিত হইলে অহিংসা ধৰ্ম্ম আর আম্পাদলাভে সমর্থ হয় না। চুতুষ্পাদ জন্তু যেমন এক পদের অভাব উপস্থিত হইলে ক্ষণকাল ও দণ্ডায়মান থাকিতে পারে না, সেইরূপ এই অহিংসাধিৰ্ম্মের একাংশ হীন হইলে ইচ্ছার স্থায়িতায় ৰিলক্ষিণ ব্যাঘাত জন্মে। যেমন হস্তীর পদচিত্নে । 可g川动百丐可 পদচিহ্র"অন্তভূত হইয়া থাকে, সেইরূপ এই অহিংস{ধৰ্ম্মে অন্যান্য ধৰ্ম্ম সমুদায় সম্পূর্ণরূপে সমাবিষ্ট হয় । মনুষ্য কায়মনোবাক্যে হিংসা করিলে তাহারে তজ্জনিত f পাপে লিপ্ত হইতে হয় ; আর যিনি কায়মনোবাক্যে প্ৰাণিহিংসায় প্ৰবৃত্ত হন না এবং কদাপি মাংস ভক্ষণ করেন না, তিনি বিমুক্ত হুইয়া {াকেন। মাংস ভক্ষণাভিলায়ু, মাংস ভক্ষণে উপদেশ প্ৰদান ও মাংস ভক্ষণ দ্বারা হংসাজনিত পাপ জন্মে ; এই নিমিত্ত তপঃপরায়ণ মনীষিগণ কদাপি মাংসা}ার করেন না , যে ধ্যক্তি মোহ প্রভাবে পুত্ৰমাংস সদৃশ মাংস ভক্ষণ করে, সে অতি নীচাশয় বলিয়া পরিগণিত হয়। স্ত্রীপুরুষের সংযোগ যেমন সন্তানোৎপত্তির অদ্বিতীয় কারণ, সেইরূপ হিংসাই বহুবিধা পাপযোনিতে জন্মগ্রহণ করিবার একমাত্র কার? বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। যেমন জিহবাই রসজ্ঞানের কারণ, সেইরূপ মাংসের মাস্বাদনই. মাৎসানুরাগের হেতু বলিয়া অভিহিত হয়। পাকের তারতম্যানুসারে মাংস মনুষ্যের চিত্ত আকর্ষণ করে, যাহাদিগের মাংসে অতিশয় আসক্তি জন্মে, মাৎসভক্ষণে তাহদের যেরূপ আমোদ হয়, ভগ্নী, মৃদঙ্গ ও তন্ত্রী শ্ৰবণে কখনই তাদৃশ আমোদ হয় না । মাংসাভিলাষী। गखिब्रा অ্যাংসের যেরূপ প্রশংসা করে, তাহা অন্যের অচিন্তিত, অসঙ্কল্পিত ও অনির্দিষ্ট সন্দেহ নাই; ফলত মাংসের প্রশংসাও দোষাবহ। ৫৮৮। যে সমুদায় মহাত্মা রূপবান, অবিকলাঙ্গ, দীর্ঘায়ু, বলশালী ও স্মরণশক্তিসম্পন্ন হইতে বাসনা করেন, তাহাদিগরে হিংসা পারত্যাগ করা নিতাস্ত” মাবশ্যক । মহর্ষিগণ বলিয়াছেন, যতব্ৰত হইয়া প্ৰতিমাসে অশ্বমেধযজ্ঞের অনুগান করিলে যে ফল হয়, মধুমাংস পরিত্যাগ করিলে সেই ফুল লাভ হইয়া tাকে। স্বায়ভুব মনু কহিয়া গিয়াছেন, যে ব্যক্তি পশুহিংসা ও মাংসভোজনে 'রায়ুখ হয়, wাহাৱে সৰ্ব্বভূতের মিত্ৰ বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে। যে I্যক্তি মাংসভোজন, না করে, সে সৰ্ব্বভুতের অধুষ্য, সৰ্ব্বজন্তুর বিশ্বাসপাত্র ও” lধুনিগের সম্মানভাজন হয়। তপোধনাগ্রগণ্য দেবধি নারদ কহিয়াহেন, যে