পাতা:ভারত বিহিত উপদেশমালা - পশুপতি ঘোষ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ श6। । ( 8 ) ১১১। যে ব্যক্তি প্ৰবল শত্রুর তেজোহাস হুইবার সময় পৰ্যন্ত অপেক্ষা ' না করিয়া উহা অপচু জ্ঞান করে, তাহার অচিরা ৎ বিন্যাশ লা গু হইয়া থাকে। প্রাঙ্গ লোৱকরা আপনাদিগের ও শক্রিগণের সার,”অসার ও বলবীৰ্য্য বিবেচনা করিয়া কায্য করেন বলিয়াই তঁহাদিগকে অবসন্ন হই৩ে হয় না। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পণ্ডিত ব্যক্তিরা শত্রুরে পরাক্রান্ত দেখিলেই তাহার নিকট বেতসের ন্যায় নম্র হইবেন । • ১১২। যদি বুদ্ধিমান ব্যক্তি রোষাবিষ্ট না হইয়া নিৰ্ব্বোধের তিরস্কার বাক্যে, উপেক্ষা প্ৰদৰ্শন করেন, তাহা হইলে তিনি তাহাবু সমুদায় পুণ্যলাভ এবং ৩াহাজে আপনার সমুদায়ু পাপ সঞ্চার করিতে পারেন । আতশব মন্দি ব্যক্তিরে টিটুিভের মায় রুক্ষস্বরে তিরস্কার করিতে দেখিয়া উপেক্ষা প্ৰদৰ্শন করাই বুদ্ধিমানের কৰ্ত্তব্য। যে ব্যক্তি লোকের বিরাগভাজন হয়, তাহার জীবন নিস্ফল । “আমি অমুক মান্য ব্যক্তিরে এই কথা ক্ষহিয়া তিরস্কার কারলে সে লজ্জিতুভাবে বিষয়বদনে মৃতকল্প হইয়া রহিল”। মূঢ় ব্যক্তিরা এই ‘বলিয়া নিয়ত আপনাদিগের পাপ কৰ্ম্মের প্রশংসা করিয়া থাকে। ঐ রূপ নীচাশয় নিলজ্জ ব্যক্তির বাক্যে, যত্নপূর্বক টুপেক্ষা প্রদর্শন করাই উচিত। নিৰ্ব্বোধেরা যাহা বলুকি ? না কেন• পণ্ডিত ব্যক্তির তাহা সহ্য করই অবশ্য কৰ্ত্তব্য। অরণ্য মধ্যে কাকেরগনরর্থক চীৎকারের ন্যায়,সামান্য লোকের নিন্দ বা প্ৰশংসায় মাহতের কিছুমাত্র লাভ বা ক্ষতির সম্ভাবনা নাই। পাপাত্মারা যদি বাক্য প্রয়োগ দ্বারাই লোককে দূষিত করিতে পায়িত, তাহা হইলেই তাহার বাক্য ক্ষতিকারক বলিয়া স্বীকার করা যাইত । কিন্তু যেমন একজনকে “তুমি মৃত্যুগ্রাসে নিপতিত হও” বলিলেই সে প্রাণত্যাগ করে না, তদ্রুপ, দুরাত্মারা কাহার প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করিলে তাহার দূষিত হইবার সম্ভাবুনা নাই। ময়ুর যেমন আপনার গুহ প্ৰদেশ প্রদর্শনপূর্বক নৃত্য করিয়া লজ্জিত হয় না, তদ্রুপ নীচাশয় ব্যক্তি সাধুগণের প্রতি দুৰ্ব্বাক্য প্রয়োগপূর্বক আপনার জারজত্ব প্ৰকাশ করিয়া ও লজ্জা বোধ করে না । ১১৩। } যাহার পক্ষে কিছুই অবাচ্য ও অকাৰ্য্য নাই, তাহার সহিত বাক্যালাপ করাই সাধু ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য নহে। যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষে লোকের গুণ ব্যাখ্যানও পরে ক্ষে নিন্দা করিয়া থাকে, সে কুকুরের ন্যায় জ্ঞানহীন ও