পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাম ছিল ‘দেলখোস', এই দেলখোসা সৌধ হইতেই ইহার নাম হইয়াছিল ‘দেলখোস’ বাগ। নবাব সদণ্ড আলী খাঁর ইহা শিকারাবাস ছিল। স্থানটি নগর হইতে কিয়দ রে ও বিজনে অবস্থিত—প্রকৃতি এস্থানে আপনার সৌন্দৰ্য্য বিস্তার করিবার একটু সুযোগ পাইয়াছে। নবাবের অন্তঃপুরচারিণী ললনা-কুল এস্থানে আসিয়া স্বাধীনভাবে বিচরণাদি করিতেন। সদৎআলী নিকটবৰ্ত্তী জঙ্গলসমূহ বিশেষরূপে পরিষ্কার করিয়া এই স্থানটীকে সুন্দর পার্কে পরিণত করিয়াছিলেন—এবং ইহা নানা জাতিয় বন্যমৃগ ও পশুদ্বারা পূর্ণ করেন। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় স্তার কলিন ক্যাম্বেল এই বৃক্ষবাটিকা ও এই প্রাসাদ আডিডা রূপে ব্যবহার করিয়া বিদ্রোহী সিপাহীদিগকে ধৰ্ম্মপরিমাণে भन করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । y w মার্টিনিয়ার-একটী অৰ্দ্ধবৃত্তাকার বৃহৎ অট্টালিকা, ইহাই মার্টিনিয়ার নামে অভিহিত। সাধারণতঃ ইহা “মার্টিনকুঠি” নামেই সুপরিচিত। বৰ্ত্তমান সময়ে { এখানে একটী বিদ্যালয় স্থাপিত, এখানে ইংরেজবালকগণ অধ্যয়ন করিয়া থাকে। মার্টিনিয়ার দেখিতে হইলে বিদ্যালয়ের অধ্যাক্ষের আদেশ গ্ৰহণ করিতে হয়। এখানে নানা প্ৰকার কৌশলসম্পন্ন মূৰ্ত্তি এবং গ্রীক দেশীয় | পুরাণোক্ত নানারূপ দেবদেবীর ও বিবিধ ঘটনাসমূহ অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়। এই সুন্দর অট্টালিকাটা ক্লন্ডমার্টিন নামক জনৈক ফরাসীর দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ইনি সামান্য সৈনিক রূপে প্ৰথমে ভারতবর্ষে আসেন, কিন্তু স্বীয় দক্ষতাগুণে অবশেষে সৈনিক বিভাগে মেজর জেনােরলের পদ পৰ্য্যন্ত পাইয়াছিলেন এবং বিপুল অর্থে পাৰ্জনে সক্ষম হ’ন। সেই অর্থে পাৰ্জনের ফলই এই বিচিত্ৰ অট্টালিকা, মাটিন সাহেব ইহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ হইবার । র্বই পরলোকগমন করেন। র্তাহার ইচ্ছানুসারেই এই অট্টালিকা མ་ག་ལ་ বাজেয়াপ্ত না হইয়া বিদ্যালয়ে পরিণত হইয়াছে। মাটিনোর। সমাধিও এখানেই ছিল, কিন্তু সিপাহী-বিদ্রোহের সময় সিপাহিগণ ইহা । অহাদের আডডা করিয়া অট্টালিকার বহু অপচয় করে এবং—মাটিনের কবর ংস করিয়া—তাহার অস্থিসমূহ চারিদিকে বিক্ষিপ্ত করিয়া ফেলে। আত্মবিস্মৃত উদ্ধতপ্রকৃতি এই সকল পিশাচ সৈনিকের মৃতদেহা s ·姆。 ,桦 i % . ዪ i