পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । সর্বপ্ৰধান কৰ্ম্মচারীর নিকট হইতে অনুমতি পত্ৰ গ্ৰহণ করিতে হয়। র্যাহার স্মৃতি সংরক্ষণার্থ এই ইন্দ্রপুরী - নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, সেই দেবী তুল্য। লক্ষনীবাই এবং তাহার পুত্র ও বৰ্ত্তমান রাজ্ঞী চিমনাবাই প্ৰভৃতির তৈল চিত্রের সহিত মহারাজার ও এক সুবৃহৎ তৈল চিত্র এই প্রাসাদ মধ্যে বিরাজিত আছে। লক্ষনীবিলাস মহল দর্শনান্তে আমরা মহারাজের পল্লী প্ৰাসাদ দেখিতে গমন করিলাম, উহা বরদা হইতে কিঞ্চিৎ দূরে ‘মাখনপুরা’ নামক পল্লীতে অবস্থিত। এ স্থানের প্রাসাদটিও অত্যন্ত বৃহৎ । তিনটি অট্টালিকা পাশাপাশি ভাবে নিৰ্ম্মিত, একটা আবৃত রাজপথ দিয়া নূতন আটালিকা হইতে প্রাচীন অট্টালিকায় যাইতে হয়। বৈঠকখানা দু’টি এবং নূতন আন্তঃপুরটি অতিআশয় সুন্দর রূপে সুসজ্জিত রুচি ও কারাজ্ঞানের পুন পরিচারক। অতঃপর একে একে ৰূরদার অন্যান্য সুন্দর সুন্দর সৌধাবলী দৰ্শন করিলাম, তস্মধ্যে লেডি ডাফরিণ হসপিটেল, কোট অব জষ্টিস, বরদাষ্টেট লাইব্রেরী, নজরাগ প্ৰাসাদ, পশুশালা, সেণ্টলিজেল, বরদা কলেজ ইত্যাদি দেখিতেও যেরূপ সুন্দর। কাৰ্য্যপ্ৰণালীও সেরূপ মনোহর। মহারাজার নূতন উদ্যানটি দর্শন করিয়াও বিশেষ তৃপ্তি লাভ করিয়াছিলাম, উহা দেখিতে বড়ই মনোহর, নগরস্থ ভদ্রপল্লী পরিত্যাগ করিয়া যে রাজপথ বরাবর ষ্টেসনের দিকে চলিয়াছে সে পথ দিয়া কিয়দ্দূর অগ্রসর DBBDBDBDBD STBD BBD SDDDS KB যায়। উদ্যানটি বেশ বড়, যদিও ইহার মধ্যে নানাজাতিয় সুন্দর সুন্দর পুষ্পবৃক্ষ-বল্পীরী শোভমানা তথাপি যেন ইহা বজ্জিত বলিয়া প্রতীয়মান হইল। বরদানগর হইতে ১৮ মাইল দূরবর্তী অজয় নামক একটা কৃত্রিম হ্রদ আছে, উহা হইতেই বরদার পানীয় জলের সরবরাহ হইয়া থাকে। আর নয়। লক্ষনী নামক একটী কুপ হইতে পাইপে করিয়া নগরের মতিবাগে এবং নজরবাগে জল আনীত হয়, এই নজরবাগের ফটকের দক্ষিণদিকস্থ একটা ব্যারাকে কয়েকটি স্বর্ণ ও রৌপ্য নিৰ্ম্মিত কামান আছে, স্বর্ণ ও রৌপ্য নিৰ্ম্মিত কামান বলিয়া ইহারা নিতান্ত ক্ষুদ্র নহে, লৌহের কামান হইতে ছোট বলিয়া কোন মতেই আমাদের মনে হইল না, সাড়ে তিন মণ করিয়া খাটি সোণা আছে, কামানগুলি রাজত মণ্ডিত শকটোপরি সুসজ্জিত। বরদা রাজ যখন দিল্লীর