পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टांझ्ञ्ट्रांतां । মহম্মদ শা। বেগুরার (Mahamid Shah Bogura) বিধবা পত্নী কর্তৃক এই মসজিদটী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই শ্রেণীর সৌধাবলীর পর্য্যায়ে ইতা সমগ্ৰ পৃথিবীর মধ্যেও উল্লেখযোগ্য, প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এইরূপ মত প্ৰকাশ করিতেও দ্বিধা করেন নাই । ইহা দ্বারা পাঠকবর্গ সহজেই ইহাৱ কলানৈপুণ্যের শ্রেষ্ঠত্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে পরিবেন । ইহা স্থাপত্যের ও ভাস্কর্য্যের একটি শ্রেষ্ঠতম কীর্দিস্তম্ভ। এতদ্ব্যতীত তাতি সিংহের সমাধি ও অধুনাতনকালে নিৰ্ম্মিত স্বামী নারায়ণের মন্দিরটি বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য । গুজরাটের মসজিদ ও অট্টালিকা প্রভূতির গঠন প্ৰণালী অধিকাংশই হিন্দুভাবাপন্ন বলিতে পারা যায় । কক্ষরিয়া তলাও ।--ই হার প্রাচীন নাম 65-ਭੋ-ਭ । ইহা গুজরাটের নরপতি সুলতানউদ্দীন কর্তৃক ১৪৫১ খৃস্টাব্দে খনিত হইয়াছিল। এই জলাশয়টি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে প্ৰায় এক মাইল হইবে। এই সুদীর্ঘ সরোবরের চতুর্দিকে সোপানাবলী বিদ্যমান আছে। সরোবরের মধ্যে একটি দ্বীপ আছে । তাহার নাম নাগিনা, অর্থাৎ অঙ্গুরী-মধ্যবর্তী রত্ন । তীর হইতে ঐ দ্বীপে যাইবার একটি সুন্দর তৃণশম্পাবৃত পথ আছে। সরোবরের নিৰ্ম্মল সলিলে বেষ্টিত, কলকাকলীকৃজিত, বৃক্ষ বল্লৱীসমাকীর্ণ এই দ্বীপটি বড়ই সুন্দর । শীতল সমীরণ সেবনে ক্লান্ত দেহ সজীবতা লাভ করে । দ্বীপের মধ্য হইতে তীরের শোভা ও অদূরবর্তী নগরের সৌন্দৰ্য নিতান্ত লোচনানন্দদায়ক । আমরা বহুক্ষণ এই স্থানে বসিয়া শান্তি লাভ করিলাম। সরোবরবক্ষে মৃদুপবনস্পর্শে ছোট ছোট ঢেউগুলি উঠিতেছিল, পড়িতেছিল। পাখীগুলি মনের সুখে গাহিয়া হৃদয়ে শান্তির সুবিমল ধারা ঢালিয়া দিতেছিল। কি সুন্দর ; হৃদয়ে অপূর্ব গ্ৰীতি অনুভব করিলাম। মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের সময়েই আহম্মদাবাদের প্রাচীন কীৰ্ত্তিসমূহ ধ্বংসের পথে অগ্রসর হয় । তাহারাই আহম্মদ শাহ প্ৰভৃতি মুসলমান নরপতিগণের নিৰ্ম্মিত প্ৰাচীন কীৰ্ত্তিস্তম্ভসমূহের ধ্বংস করিয়া গিয়াছেন। ইংরেজ গভর্মোেণ্টর অধীনে এই নগরের অনেক শ্ৰীবৃদ্ধি কইয়াছে’- বৰ্ত্তমান সময়ে .-ത്ത" '(? এ নগরে বহুতর বিদ্যালয়, হাসপাতাল, পিজােরাপোল, ব্যাঙ্ক প্ৰভৃতি আছে। "bる。