পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহারা প্ৰায় আশী জন সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, সেদিন সুদূর প্রবাসে স্বজাতি-সঙ্গমে যে অপূর্ব আনন্দ উপভোগ করিয়াছিলাম, তাহা চির-জীবন মনে থাকিবে। বিশুদ্ধ আমোদ প্রমোদে গীত-বাছের মধুর ধ্বনিতে বাঙ্গালীর কণ্ঠে যখন বাঙ্গলা গান ঝঙ্কত হইয়া উঠিয়াছিল, তখন একবারও মনে হয় নাই যে মাতৃ-ভূমির শ্যামলাঞ্চল ছায়া হইতে সুদূর পাঞ্জাবের প্ৰান্তে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। বিদেশে এতগুলি বাঙ্গালী ভদ্রলোকের সমাবেশ বড়ই চমৎকার দৃশ্য হইয়াছিল-প্রবাসে বাঙ্গালী ভদ্র লোকদের সৌজন্যে বাঙ্গালী ভদ্রলোক মাত্রেই আপনাদিগকে গৌরবান্বিত বোধ করেন। অম্বালা সহরের চতুর্দিক প্রাচীরবেষ্টিত। ইহার জনসংখ্যা প্ৰায় ২৬,০০০ হইবে। সেনানিবাসের জন্যই এই নগরের খ্যাতি বেশী। সহরের রাস্তাঘাট ধূলিধূসরিত ও অপরিচ্ছন্ন। এ স্থানের জলবায়ু শীতের সময় অত্যুৎকৃষ্ট-কিন্তু গ্রীষ্মের সময় সন্তোষজনক নহে। বাংলা দেশের মত এখানে উৎকৃষ্ট মিঠাই পাওয়া যায় না। খাটি দুগ্ধ টাকায় বারো সের করিয়া বিক্রয় হয়। সচরাচর মৎস্য দুই আনা তিন আনা সের দরে বিক্ৰী হইয়া থাকে। কঁাটালের বৃক্ষ একেবারেই নাই, রাস্তায় মাঝে মাঝে দুই চারিট আমি বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়। পান জিনিষটা অম্বালায় অত্যন্ত মহার্ঘ, পয়সায় দুই তিনটার অধিক বিক্ৰী হয় না। চিনিকে, বালি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ; এ দেশের স্ত্রীলোকেরা নিতান্ত অপরিচছন্নাবস্থায় থাকে । অম্বালা প্রদেশের অন্তৰ্গত কোম্বুৰী নামক স্থানের জঙ্গলাভ্যন্তরে দুইটী হ্রদ দ্রষ্টব্য, ঐ হ্রদের জল কখনও শুকাইয়া যায় না । সহর হইতে ১৭ ক্রোশ দূরবর্তী শ্ৰীমুর বা নহনরাজ্যে বাণ রাজার জঙ্গল দৃষ্ট হয়। এ প্রদেশে তাম, লৌহ, সীসা, লবণ প্ৰভৃতি খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। অম্বালা হইতে নয় ক্রোশ দূরে “রাজপুরা’ নামক একট৮ রেল ষ্টেসন। আছে, সেখান হইতে অপর একটী রেল-বত্মা বেটিণ্ড নামক স্থান পৰ্য্যন্ত গিয়াছে।--রাজপুর হইতে বেটিণ্ডা ১০৮ মাইল দূরে অবস্থিত। এই পথেই পাতিয়ালার রাজধানী নাভায় যাইতে হয়।---আমরা এই ' পথাবলম্বনে পাতিয়ালার রাজধানীতে আসিয়া পহুছিলাম। జో Գե नानक था ।