পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। ’ মুলতান হইতে ৬৪ মাইল দূরে বহাবলপুরের নবাবের বাড়ী।। তঁহার প্ৰধান তহশীল কাছারী মুলতানেই স্থাপিত। নবাবের কাছারী ও হাসপাতাল দেখিবার যোগ্য। কমিশনার আফিস, পোষ্টাফিস, টেলী গ্রাফ আফিস একটা বৃহৎ ও সুন্দর উদ্যান এবং তন্মধ্যস্থ লাইব্রেরি গৃহটি দেখিয়া অত্যন্ত শ্ৰীত হইয়াছিলাম। এখানকার প্রধান অট্টালিকা সমূহের মধ্যে আরব দেশবাসী মুসলমান সাধু বাহাউদ্দীন ও রুবসউল আলমের সমাধি মন্দিরবিশেষরূপে উল্লেখ যোগ্য এবং পৰ্য্যটক মাত্রেরই অবশ্য দর্শনীয়-১৮৪৮– ৪৯ খ্ৰীষ্টাব্দে নিকটবৰ্ত্তী দুর্গের বারুদখানায় আগুণ লাগায় ঐ সমাধি মন্দিরের নিকটবৰ্ত্ত আমাদের পূর্ববর্ণিত প্ৰহলাদপুরীর প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের কতকাংশ উড়িয়া গিয়াছে। দুর্গের মধ্যস্থলে সূৰ্য্যদেবের সুবৃহৎ মন্দিরটি অবস্থিত। হিন্দু ধৰ্ম্মদ্বেষী মোগল-সম্রাট আওরঙ্গজেব উহা ধ্বংস করিয়৷ তদুপরি মসজিদ প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন । যখন শিখদের প্রাধান্য হয়, তখন সেই জুমা মসজিদ বারুদখানা রূপে ব্যবহৃত হইয়াছিল। সে সময়ে আগুন লাগায় উহার অধিকাংশ নষ্ট হইয়া যায়। ১৮৪৮ খ্ৰীষ্টাব্দে মূলরাজ যখন বিদ্রোহী হ’ন সে সময়ে ভান্স এগনিউ ও লেফটেনাণ্ট এণ্ডার্সন । নামে দুইজন ইংরেজ সেনানী নিহত হওয়ায় তঁহাদের স্মৃতি রক্ষা করিবার | নিমিত্ত দুৰ্গ মধ্যে ৭০ ফিট উচ্চ একটী স্তম্ভ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সহরের পূর্বভাগে হিন্দু-শাসন কৰ্ত্তাগণের সময়ের নিৰ্ম্মিত প্ৰসিদ্ধ আমখাস (দরবার গৃহ ) এক্ষণে তহশীল কাৰ্য্যালয়ে পরিণত হইয়াছে। মুলতান উষ্ণপ্ৰধান স্থান। দ্বিপ্রহরের সময় কাহার সাধ্য নগরের বাহির হয় ? এ অঞ্চলে একটী প্রবাদবাক্য প্রচলিত আছে যে ধূলি, ভিক্ষুক ও কবর এই তিনটী মূলতানের বিশেষত্ব, প্ৰকৃত পক্ষেও তাহাই দেখিলাম, নগরের এমন অংশ অতি বিরল যে স্থানে কোন না কোন কবর না আছে। রাস্তায় ধূলি এত বেশী যে পদে পদে ধূলিধূসরিত হইতে হয়। লাহাের ও করাচীবন্দরের সহিত ইহা রেলওয়ে লাইন দ্বারা সংযোজিত থাকায় দিন দিনই এই নগরীর নানারূপ শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে। কান্দাহারবাসী বণিকগণ এখানে আগমন করিয়া ক্রয় বিক্রয়াদি করিয়া থাকে। মূলতানে যে কয়েকটি বাঙ্গালী বাবু আছেন, তাহারা সকলেই SS8 ऊनवव्रु ।