পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণে সুরঞ্জিত ছিল। ইহার উত্তর ও দক্ষিণ দিকস্থ দেওয়ালে লেখা । “আগার ফিরদৌস বা’ রুয়ে জমিনান্ত । - হামিনাস্তে হামিনাস্তে হামিনাস্তো।” । ཅམ་པོ་༤--- যদ্যপি স্বরগ থাকে মরতের মাঝে, সম্ভব তাহলে তাহা হেথায় বিরাজে । পূর্বে এই লেখাগুলি কনক ফলকে শোভিত ছিল, ইংরেজরাজ তাহা স্থানান্তরিত করিয়া তৎস্থানে পিত্তালফলক স্থাপন করিয়াছেন। “দেওয়ানে আম” ও “দেওয়ানে খাস” এই কক্ষ দু’টা সম্বন্ধে ফাগুসন সাহেব অসঙ্কোচে fiftee, “They are the gems of the palace.” gie vsfreggr মধ্যে কোনওরূপ অতিশয়ােক্তি নাই। পূর্বে সম্রাটের সিংহাসনের নিকটে যে সুবর্ণনিৰ্ম্মিত মানদণ্ড বিরাজিত থাকিত, এখন তাহা পিত্তল। ফলকে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া ক্ষুদ্রাকারে দর্শকের দৃষ্টিপথে পতিত হয়। এই | মানদণ্ডের চতুষ্পার্শ্বে আরবী অক্ষরে খোদিত আছে যে “মহাপ্ৰলয়ের দিবস স্বয়ং জগৎপাতা জগদীশ্বর মানদণ্ড ধারণ পূর্বক রাজা মহারাজা হইতে দীনহীন কুটীরবাসী ভিক্ষুকের অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের ভালমন্দ ও পাপ পুণ্যের বিচার করিবেন।” বৰ্ণিয়ার তাঁহার ভ্রমণ-কাহিনীতে রাজপ্রাসাদের . যে মনোহর বর্ণনা করিয়াছেন এখন তাহা কল্পনাতীত। সাহজাহনের সেই ময়ুরসিংহাসন এখন কোথায়? উহা যে হীরক-প্রবাল-মণ্ডিত সুধাধ্বলিত মৰ্ম্মর বেদীর উপর স্থাপিত ছিল তাহা এখন লৌহশিলাকাবৃত। " হায় রে পরিখাত্তন! যে জগদ্বিখ্যাত কোহিনুর একদিন ধূৰ্ত্ত নাদীর সাহ উষ্ণাষ পরিবর্তন ছলে দিল্লীর পরাজিত সম্রাট মহম্মদ সাহের নিকট হইতে । গ্রহণ করিয়াছিলেন-যাহ দিগ্বিজয়ী বীর আলাউদ্দীন মালওয়া রাজা পরাভূত করিয়া হস্তগত করিয়াছিলেন, যে প্রদীপ্ত মহামণি ১৫২৬ খৃষ্টাবে মহামতি সম্রাট হুমায়ুনের হস্তগত হয় এবং যাহা কিয়দিন পৰ্যন্ত প্ৰন্থ বৎসল মহাত্মা সম্রাট আকবরের সমাধিভূষিত করিয়াছিল—পরে -