পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

འ་ག. "" character of a Roman daughter, and in the reputation of a saint, better deserved than by many who have borne the name." জাহানারার সমাধি আমাদের নিকট এক পুণ্যময় তীৰ্থ বলিয়া মনে হইয়াছিল, সেই পিতৃভক্তিমতী জাহানারার পুণ্যসমাধির পার্থে অজ্ঞাতে ভক্তিভরে শিরনত হইয়া পড়িল। জাহানারার সমাধি দর্শনান্তে আমরা একে একে নিম্নলিখিত সমাধিগুলি পৰ্য্যবেক্ষণ করিলাম। – মির্জা জাহাঙ্গীরের সমাধি—এই সমাধিটা “প্রস্তরের নানাবিধ সুন্দর । সুন্দর কারুকাৰ্য্যে পরিশোভিত। মির্জা জাহাঙ্গীর দ্বিতীয় আকৰ্যর সাহার পুত্র, অপরিমিত মদ্যপানে ইহার অতি অল্প বয়সেই মৃত্যু হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে। এই সমাধিমন্দির ১৮৩২ খ্ৰীষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হয়। u> · । পুরাণ কেল্লা— ইহা হুমায়ুন বাদসাহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন আর ইহার সে সৌন্দৰ্য্যের কোন চিহ্নই বিদ্যমান নাই। কিল্লার চতুর্দিক বেষ্টন করিয়া যে প্রাচীর ছিল তাহার ধ্বংসাবশেষ ও একটী মাত্র তোরণ অতীতের সাক্ষীস্বরূপ বিরাজমান আছে। প্রাচীরের বহির্দেশে যে পরিখা ছিল, তাহা এখন অতি ক্ষীণ চিহ্নের মত দেখা যাইতেছে। প্ৰাচীন কিল্লার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে “কিলা কি না মসজিদের ধ্বংসাবশেষ’ ও সেরমঞ্জিলই সুপ্ৰসিদ্ধ। হুমায়ুন রাজ্যপ্ৰাপ্তির পরেই ইহা : নিৰ্ম্মাণ । করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু পরিশেষে সেরশাহার সহিত যুদ্ধে পরাভূত হইয়া পলায়ন করিলে পর সেরশাহ ইহার নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শেষ। করিয়াছিলেন। ফিরোজাবাদের দক্ষিণ হইতে আরম্ভ করিয়া পুরাণ কেল্লার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব পৰ্যন্ত স্থানে রাজধানী প্ৰস্তুত করিয়া তাহার নাম “দিল্লী সেরশাহী।” রাখিয়াছিলেন । সেরমঞ্জিল-ইহার বিষয় পূর্বেই বলা হইয়াছে, এই সৌধটিই সের। শাহার রাজভবন। এই রক্তপ্রস্তর-নিৰ্ম্মিত ত্রিতল হৰ্ম্মটা সেরশাহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এখন এই রাজভৱন জরাজীর্ণ বৃদ্ধের ন্যায় শেষের সে দিনের শেষ অপেক্ষায় বিরাজমান—সে সৌন্দৰ্য্যও নাই, সে বিপুল - কলেবরও নাই। . :