পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । date, and not frequently even now. * * * t is almost equally starting to find that, after an exposure to wind and rain for fourteen centuries, it is unrusted, and the capital and inscription are as clear and as sharp now as when put up fourteen centuries ago." (History of the Eastern and Indian Architecture P. 568). এই স্তম্ভের অপূর্বত্ব সম্বন্ধে ফাগুসন সাহেবের এই মন্তব্যের অধিক আর বলিবার কি আছে। যখন সুসভ্য ইউরোপের অধিবাসিবুন্দেরা এমন ভাবে লৌহদণ্ড নিৰ্ম্মাণ করিতে জানিত না—তখনও হিন্দুগণ এইরূপ বৃহদাকার সুন্দর লৌহদণ্ড নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । ** ** আর এও কি কম আশ্চর্য্যের বিষয় যে ১৪০০ চৌদশত বৎসরের ঝড় বৃষ্টি সহিয়াও ইহা এখন অকলঙ্ক রহিয়াছে ! শিরোভাগের পল গুলি এবং গাত্ৰস্থ লিপি উভয়ই এখন নূতনের ন্যায় সুস্পষ্ট ও তীক্ষ রহিয়াছে। হায়! ভারতে ছিল সবই কিন্তু কালবশে সকলই অন্তহিত হইয়া গিয়াছে। সে গৌরব—সে প্ৰতিভা--- সে বিদ্যা সে মহত্ত্ব সমুদয়ই এখন ধ্বংসের পথে গমন করিয়াছে। আলাউদ্দীন দুর্গ ও আলাই দরজা এই দুইটা কুতবমিনারের আলাউদ্দীন দুর্গ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অংশে অবস্থিত। আলাই দরও • ও আলাই দরজা। য়াজাটি প্রায় ৫৬ ফুট সমাচতুষ্কোণ ; প্রাচীরের বেধ প্ৰায় ১১ ফুট প্ৰত্যেক পাৰ্ম্মেই অশ্বখুরের খিলানানুষ্যায়ী উচ্চ প্ৰবেশের পথ আছে । এই দরোজার অভ্যন্তরভাগ সম্বন্ধে কানিংহাম অতি সন্তোষজনক মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়াছেন।--তাহার মতে পাঠান স্থপতি-কাৰ্য্যের সমগ্র আদশের মধ্যে ইহাই সর্বাপেক্ষা মনোহর । প্রবেশের পথ তিনটীর উদ্ধাদেশে আরবীয় অক্ষরে আলাউদ্দীনের সেকেন্দর সানি উপাধি সম্বলিত নাম এবং কাল ৭১০ হিজরি (১৩১০ খৃষ্টাব্দ) পুনঃ পুনঃ লিখিত আছে। এই দরজার অপর পার্শ্বে আলাউদ্দীনের প্রাচীন দুর্গের ভগ্নস্তৃপ বিদ্যমান। একদিন এই দুর্গ অত্যন্ত বিশাল ও সুদৃঢ় ভাবে নিৰ্ম্মিত ছিল। আলাউদ্দীন অত্যন্ত নিষ্ঠর প্রকৃতির নরপতি ছিলেন ইনি নিরক্ষর ও নৃশংস উভয়ই ছিলেন। SVR