পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মুখ রণক্ষেত্রে আত্মবিসর্জন করিলেন, তখন অবশিষ্ট রাজপুত যোদ্ধাগণ সংখ্যায় মোট এক সহজ হরিদ্বর্ণ পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া সাধের জন্ম- ভূমির ও আত্মীয় স্বজনের নিকট হইতে চিরজন্মের মত বিদায় গ্রহণ করিয়া একে একে রণক্ষেত্রে আত্ন-বিসর্জন করিলেন। বীরাঙ্গণ রাজপুত মহিলাগণও এই স্থানে দলবদ্ধ হইয়া জ্বলন্ত চিতায় । আত্ম-বিসর্জন করিয়া ছিলেন। এই সেই পুণ্যক্ষেত্র, মুহুর্ত মধ্যে অতীতের সমুদয় দৃশ্যাবলী বাস্তবের ্যায় প্রতিভাত হইল। সংসারে আজ কত পরিবর্তন। সেই নীরব নিভৃত প্রদেশে বাতাস যেন গাহিতেছিল, “দেখুরে জগত, মেলিয়ে নয়ন, দেখ রে চন্দ্ৰমা, দেখ রে গগন, স্বৰ্গ হ’তে সবে দেখ দেবগণ, জলদ অক্ষরে রাখগো লিখে । স্পন্ধিত যবন, তোরাও দেখরেসতীত্ব রতন করিতে রক্ষণ, রাজপুত-সতী আজি কে কেমন, সঁপিছে পরাণ তানল শিখে ।” চিতোরে অ্যাগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে কুকুরেশ্বর মন্দির, অন্নপূর্ণা- দেবীর মন্দির, রত্নেশ্বর সিংহের প্রাসাদ, নব লক্ষ ভাণ্ডার প্রভৃতি আরও অনেক মন্দিরাদি এবং সূৰ্য্যকুও ও মাতাজ্ঞিকুণ্ড প্রভৃতি সুন্দর সুন্দর জলাশয় আছে । চিতোর ভারতের .গৌরব, ভারতবাসীর-জানা-ফ্লাশ্রচুর অনন্ত আধার, আমাদের থর্মাপালী-- ম্যারাথন । কোথায় সেই দিন চলিয়া গিয়াছে, আজ কোথায় তাহারা ? সেই সৌন্দৰ্য্য–সেই কঠোর ও কোমলের একত্র সমাবেশ, সেই স্বদেশ প্রীতির গৌরবকেন্দ্র চিতোর আজ মশান । শাশানে কি দেখিলাম, দেখিলাম—শুধু অস্থি-- শুধু ভস্ম—শুধু হাহাকার শুধু যন্ত্রণার মৰ্মভেদী দহন । চিতোর তুমি কি ? তুমি আমাদের হাদয়ের রক্ত, ভারতের মুকুটমণি ! কালের ভীষণ তরঙ্গাঘাতে তোমার একবিন্দু গৌরব কণারও যে হ্রাস হইবে না চিতোর ! তুমি অজর । - তুমি অমর—তুমি তাক্ষয়--তুমি শাশান— আবার তুমিই আনন্দ-কানন । = " ar a = ১১