পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 || |

অমাগ্রা শাহুগঞ্জের রাস্তা ধরিয়া সিক্রি অভিমুখে আমাদের ཅམ་བ-ཐོན་ཏེ་ চলিতে আরম্ভ করিল। এই রাস্তাই, সোজা। শাহুগঞ্জের পুলিশষ্টেসন পার হইয়া কিছুদূর অগ্রসর হইলেই লোকের বসতিহীন দুই দিকের বিস্তীর্ণ প্রান্তর পথিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা যে পথে অগ্রসর হইতেছি। তাহা বেশ সুপ্ৰশস্ত এবং উহার উভয় পাশ্বেই বড় বড় গাছ ছায়া করিয়া দাঁড়াইয়া আছে। রৌদ্র-ঝলসিত প্ৰান্তরের একঘেয়ে উদাস দৃশ্য পথিককে কিছুকাল পৰ্যন্ত ভারাক্রান্ত করিয়া তুলিলেও শীঘ্রই তাহা দূর হইয়া যায়। কারণ ফতেপুর সিক্রির প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রাস্তা অতিক্রম করিলেই কেরানির আড্ডায় পৌঁছান যায়, এই বসতিটি বেশ বড়, এখানে বাজারও আছে, সাধারণতঃ পথিকেরা এখানেই বিশ্রাম করিয়া থাকেন। আগ্ৰা । হইতে কেরানি প্ৰায় দেড়ঘণ্টা কি দুই ঘণ্টার রাস্তা। ফতেপুর-সিক্রী। যাইতে আগ্রা হইতে পানীয় জল লইয়া যাওয়া কৰ্ত্তব্য, কারণ রৌদ্রের আধিক্যের সহিত পিপাসা বৃদ্ধি পাইলে জল পাওয়া সুকঠিন, বিশেষতঃ

রাস্তার লোনাজল গলাধঃকরণ করা অসাধ্য ব্যাপার। কোরণি ছাড়িয়া কিয়দার অগ্রসর হইলেই দূরে নীল পর্বতশ্রেণীর অনুচ্চ দেহ দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়, তখন হইতে সিক্রি পহুছিবার জন্য হৃদয়ে একটা ব্যস্ততা আসিয়া উপস্থিত হয়, কারণ ক্রমে আমরা সিক্রিতে আসিয়া উপনীত হইলাম। ফতেপুর-সিক্রীর বহির্ভাগে অস্থাপিও স্থানে স্থানে বহু সুন্দর সুন্দর উদ্যানের ও অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ বিদ্যমান থাকিয়া এক সময়ে যে এখানে বহুধনী আমীর ওমরাহ বাস করিতেন, তাহা প্রমাণ করিয়া দেয়। নগরের প্রাচীর দ্বারে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এক বিরাট শ্মশানের দৃশ্য আমাদের নয়ন সমক্ষে উদঘাটিত হইল। এই দূর হইতেই পর্বতোপরি ফতেপুর-সিক্রির বিরাট উচ্চ প্রাচীর দৃষ্টি পথে পতিত হয়। বহু দূর বিস্তৃত এই প্রাচীরও স্থানে স্থানে ভগ্ন হইয়া গিয়াছে। আমরা আগ্রার দিকের প্রাচীরের দ্বারা দিয়া নগরে প্রবেশ করিলাম। এই RRV .