পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्झ७-ख्यभe । মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে তঁহার সঙ্গীয় সামন্ত রাজগণের অনুরোধে এই পবিত্ৰ ক্ষেত্রে দেবালয় ইত্যাদি নিৰ্ম্মাণ করিবার অনুমতি দিয়াছিলেন। এইরূপে ভগবানের অত্যাশ্চৰ্য্য লীলা-কৌশলে পুনরায় বৃন্দাবনে গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের প্রাধান্য বিস্তার ও ক্রমশঃ অধিকাংশ লুপ্ত তীর্থ উদ্ধারের সহিত পূর্ব গৌরব বৈভব লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিল। আমরা এখন আর পাঠকদিগকে প্রাচীন ইতিহাসের নিরস অংশ বিবৃতি দ্বারা অধিক পরিমাণে ধৈৰ্য্যচ্যুতি করিতে ইচ্ছা করি না। চলুন। এখন আমরা গোবিন্দজীর মন্দির দেখিয়া আসি। আমরা বৃন্দাবনে সর্বপ্রথমেই সুবিখ্যাত গোবিন্দজীর মন্দির দর্শন করিয়াছিলাম। এই সুবৃহৎ মন্দির রূপ-সনাতনের তত্ত্বাবধানে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, স্থাপত্য শিল্পে ও বৃহত্ত্বে ইহাই গোবিন্যজীৱ বৃন্দাবনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দেবমন্দির। গোবিন্দজীর मन्द्रि । মন্দিরস্থ একখানি অস্পষ্ট শিলাফলক হইতে জানিতে পারা যায় যে আকবর শাহের ৩৪ রােজ্যাঙ্কে শ্ৰীক্লপ সনাতনের তত্ত্বাবধানে অস্বরাধিপতি মানসিংহ এই গােবিন্দজীর মন্দির প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। পূর্বে গোবিন্দজীর মন্দির পঞ্চ চূড়ায় সুশোভিত ছিল—তন্মধ্যে সর্বোচ্চ চূড়াটি বহুদূর হইতেই দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিত, কথিত আছে যে এক দিবস ঔরঙ্গজেব দিল্লীর রাজপ্রাসাদে বসিয়া উক্ত চুড়ার আলোক দেখিতে পাইয়া উজীরকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন যে ইহা বৃন্দবনের হিন্দুদিগের দেৰমন্দিরের উচ্চ চূড়া, দেবদ্বেষী ঔরঙ্গজেব অবিলম্বে সেই উচ্চ চুড়া ভঙ্গ করিয়৷ তদুপরি একটা মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিবার নিমিত্ত অবিলম্বে একদল সৈন্য প্রেরণ করিলেন। মন্দিরের পুরোহিত নিরুপায় দেখিয়া গোবিন্দজীকে লইয়া অম্বরে পলায়ন করিলেন, এদিকে মুসলমানেরা মন্দির চুড়া ভগ্ন করিয়া তাহারি মাল মসলাতে মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিল, ঔরঙ্গজেবও একদিন আসিয়া উক্ত মসজিদে নামাজ পড়িয়া গেলেন। এ ঘটনার পর হইতে অদ্য পৰ্য্যন্ত গোবিন্দদেব জয়পুরেই আছেন। জয়পুরের গোবিন্দদেবের সেবাইতগণই এখানকার গোবিন্দদেবের সম্পত্তির অধিকারী। গোবিন্দজীর এই প্ৰাচীন মন্দির সমগ্ৰ পৃথিবীর মধ্যেই একটী দর্শনীয় সামগ্ৰী, অপূর্ব শিল্পালঙ্কত, প্ৰাচীন হিন্দু স্থাপত্য বিদ্যার আশ্চৰ্য্য নিদর্শন, এরূপ বিশাল সৌধ আৰ্য্যাবৰ্ত্তে R&o