পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ভস্মণ । ও দীপাধারে ইহা সুসজ্জিত করিয়া যান। পাণ্ডাদের প্রমুখাৎ অবগত হইলাম যে, নিশা শেষে যখন র্তাহারা উপস্থিত হন, তখন তাহারা এই রচিত কুসুমাবলী ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত দেখিতে পাইয়া থাকেন। একথা যদি কেহ অবিশ্বাস করেন, তবে পাণ্ডাগণ সেই যাত্রীকে সন্ধ্যাকালে তালবন্ধ করিয়া যাইতে অনুরোধ করে, -পাঁচ টাকা ব্যয় করিলেই যে কেহ এই রহস্য পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারেন । রাত্রি নয় ঘটিকার পরে আর কেহ এ কাননে প্ৰবেশ করিতে পারেন না । বৃন্দাবনের সর্বত্রই এইরূপ জনপ্ৰবাদ প্ৰচলিত যে, ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ আজিও শ্ৰীমতী রাধিকা ও গোপীগণের সহিত এস্থানে রজনী-বিহার করিয়া থাকেন। নিকুঞ্জবনে প্ৰবেশ করিয়া সম্মুখেই যে একটী শ্যাম তমাল বৃক্ষ দেখিতে পাইয়াছিলাম, তাহার প্রাচীন ইতিবৃত্ত উল্লেখ-যোগ্য। এই গাছটির সহিত আমাদের দেশের তমাল বৃক্ষের পার্থক্য স্পষ্টতঃ অনুভূত হইল। গাছটি খুব বড় না হইলেও ইহার পত্রগুচ্ছের শ্যামল শোভা মনোহর বটে, দেখিলেই এই গাছটিকে প্ৰাচীন বলিয়া অনুমান হয় । ইহার প্রাচীন ইতিহাস এইরূপ যে, শ্ৰীকৃষ্ণ শৈশবে নবনী ভিক্ষণ করিয়া ইহার অঙ্গে হাত মুছিয়াছিলেন, তদবধি ইহার প্ৰত্যেক গাইটে গাইটে এক একটা করিয়া শালগ্ৰামশিলার সৃষ্টি হইয়াছে। প্রকৃত পক্ষেও ইহার শাখা-প্ৰশাখার সন্ধিস্থলে চকচকে কৃষ্ণবৰ্ণ মসৃণ শালগ্রামের ন্যায় শিলাকার পদার্থ বিদ্যমান রহিয়াছে। বিশেষ কৌতুহলের সহিত উহা উত্তমরূপে পর্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখিলাম, উহা কৃত্রিম প্রস্তরখণ্ড নহে, সত্য সত্যই বৃক্ষের অংশ বিশেষ ঐরূিপ কঠিনত্ব প্ৰাপ্ত হইয়াছে। “Trvel's of a Hindo)”—ইতি শীর্ষক গ্ৰন্থ-প্ৰণেতা সুবিখ্যাত ভোলানাথ চন্দ্ৰ এই ठूक्राप्टेिद्र *Çiféıf:Itczr. ** There stands in it a single tree, remarkable for its bark being knotted like the sila, and reverenced as the identical tree on which Krishna used to hang his lute. Nearly all the branches have droppted off, the trunk has got shrink and lean, and, bent down by age, is almost prolate with the ground, To all appearance, the tree induces a belief of great antiquity. যদিও সেই ভ্ৰমর-নিকর-গুঞ্জিত, পিককুল-কৃজিত নিকুঞ্জ কানন ও Rßb7ʼ