পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

霹 _ যত্নে তীর্থ উদ্ধার হইলে, তাহারাই এখানকার সমস্ত প্ৰধান প্ৰধান দেবালয়ের মঠাধ্যক্ষ হইয়া বসেন। ব্ৰজবাসীরা যে তাহাদিগকে সহজে কেন তাহদের চির-অধিকার ছাড়িয়া দিয়াছিল বা কেন দিতে বাধ্য হইয়াছিল, তাহার প্রকৃত বিবরণ কেহ আজিও অনুসন্ধান করেন নাই। আমরা অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম একমাত্র ‘বাঁকে-বিহারীজীর মন্দির ব্ৰজবাসীদিগের অধিকৃত, সেখানে বাঙ্গালী-গোস্বামী বা বৈরাগীর কোন প্ৰভুত্ব নাই। বাঙ্গালীর সেবিত দেবালয়গুলির সহিত এই দেবালয়ের একটা প্ৰধান পার্থক্য দেখিতে পাওয়া যায়। গোবিন্দজী হইতে আরম্ভ করিয়া বাঙ্গালীর সমস্ত মঠের দেবতা যুগলমূৰ্ত্তিতে অধিষ্ঠিত, কিন্তু বঁাকে-বিহারীজীর রাধা নাই। জিজ্ঞাসায় জানিলাম কোনকালেই ছিল না এবং এখনও নাই। চৈতন্য মহাপ্রভুর শিষ্যগণ যখন বৃন্দাবনের তীর্থ উদ্ধার করেন, তখন প্ৰথমে যে গোবিন্দজী মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হয়, তাহারও রাধা ছিল না। বৰ্ত্তমান গোবিন্দজী মূৰ্ত্তি বাঙ্গালী-বৈষ্ণবের ধ্যানজমুৰ্ত্তি অর্থাৎ ত্ৰিভঙ্গ, মুরলীধারী, বামে-হেলা, নটবর মূৰ্ত্তি। বাঙ্গালী বৈষ্ণব ও ব্ৰজবাসী---উভয় দলেই স্বীকার করেন যে, সেই আসল গোবিন্দজী এখন বৃন্দাবনে নাই। আরঙ্গজেবের সময়ে তিনি জয়পুরে গিয়াছেন এবং সেখানেই আছেন। জয়পুরে যে গোবিন্দজী আছেন এবং যিনি বৃন্দাবনের আসল গোবিন্দজী বলিয়া’সমস্ত বৈষ্ণবজগতে পূজিত হইয়া থাকেন, তিনি বাঙ্গালীর ধ্যানসঙ্গত মূৰ্ত্তিবিশিষ্ট নহেন এবং তাহারও রাধা নাই । এখন আমরা বৃন্দাবনে যে গোবিন্দজী দেখিলাম, তিনি আসল গোবিন্দজীর জয়পুর-গমনের পরে গোস্বামিগণ কর্তৃক নূতন প্রতিষ্ঠিত। মদনমোহন, গোপীনাথ, যুগলকিশোর প্রভৃতি প্রধান-প্ৰধান বিগ্ৰহ এই নবীন গোবিন্দজীর আকৃতির অনুকৃতি অর্থাৎ শ্ৰীকৃষ্ণের বাঙ্গালারাপ এবং সকলগুলিই শ্ৰী রাধা-সংযুক্ত। এখনকার গোবিন্দজীরও রাধা আছেন । এই সকল প্ৰধান বিগ্রহের পর যে সকল দেবমূৰ্ত্তি বৃন্দাবনের নানাস্থানে যে সকল রাজা, মহারাজ বা জমীদার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, সে সকলগুলি যুগল রূপে গোবিন্দজীর আকৃতির অনুকরণে গঠিত। যে বঁাকে-বিহারীজীর কথা বলিয়াছি, সে দেব-বিগ্ৰহ কিন্তু বাঙ্গালা কৃষ্ণমূৰ্ত্তি—ত্ৰিভঙ্গিম ঠাম, নটবরাশ্যাম মুরলী-বদন মূৰ্ত্তি নহে। তাহা অতি లిరిలి