পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের আজিও উহা দেখিতে যাওয়া ঘটে নাই। রাধিক কৃষ্ণ-সঙ্গ-লাভপ্রার্থনায় এই সূৰ্য্যের পূজা করিয়াছিলেন। রাধিকার সেই পূজায় কিন্তু পূজক ছিলেন স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ। গাঁটুলি গ্রামে রাধা কৃষ্ণের দোলমঞ্চ আছে ও লালকুণ্ড আছে। বসন্ত কালে এই কুণ্ডের জল নাকি ঈষৎ রক্তবর্ণ হইয়া উঠে ! গোবৰ্দ্ধনের প্রভাবে ইন্দ্রের অহঙ্কার চুর্ণ হইলে যে কুণ্ড তীরে তিনি ভগবানের প্রসন্নতা লাভ করেন। সেই কুণ্ডের নাম ইন্দ্ৰকুণ্ড এবং সেই পার্শ্ববৰ্ত্তী গ্রামের নাম ইন্দরৌলী বা ইন্দ্ৰৌলী। এই প্ৰধান বৈষ্ণব-তীর্থে বৈষ্ণবের কল্পনানুসারেই হউক আর সাময়িক শৈবপ্রভাবেই হউক। কাশীর সকল তীর্থ-মণিকর্ণিকা, বিশ্বনাথ, চক্ৰতীর্থ, গৌরীকুণ্ড, ইত্যাদিও প্রতিষ্ঠিত আছে। আমরা পর্বত হইতে নামিতে আরম্ভ করিলাম। পাণ্ডাঠাকুরের মুখে বিশ্রাম নাই, কৃষ্ণেরলীলাস্থানগুলির বিবরণ বর্ণনায় তিনি যেন শতমুখ! র্তাহার নানা কথার মধ্যে শুনিলাম, গোবৰ্দ্ধন-ক্ষেত্রেব মধ্যে লুকলুকানিকুণ্ডে রাধাকৃষ্ণ লুকোচুরি খেলিতেন, মিচলিকুঞ্জে চোখ ফুটফুটি খেলিতেন, চন্দ্ৰসেন পৰ্বতে পিছলিনী শিলায় রাধাকৃষ্ণ হাত ধরাধরি করিয়া বসিয়া একত্র অবলম্বন ছাড়িয়া দিয়া পিছলাইয়া নামিয়া পড়িতেন। এতদ্ভিন্ন ভগবান সেতুবন্ধনকুণ্ডে সমুদ্রবন্ধনলীলা করিয়াছিলেন, বাজনশিলায় নানা বাদ্য বাজাইতেন ! এইরূপ কত স্থানে কত লীলা করিতেন ! গোবৰ্দ্ধন হইতে যাত্ৰা করিয়া বর্ষাণা গ্রাম দেখিতে গেলাম। বর্ষাণাবৃষভানুপুর, রাধিকার জন্মভূমি। ইহার নিকটেও পর্বত " আছে, পর্বতের নিকট বৃষভানুপুরের ধ্বংসাবশেষ দেখিলাম ; কিন্তু তাহাতে দেখিবার মত কিছু দেখিলাম না। গোকুলে নন্দালয়ের যে টিপি দেখিয়াছি, ইহাও সেইরূপ। চারিদিক ঘুরিয়া বোধ হইল যে, উহ! পূর্বে একটা মৃন্ময় গড় ছিল । বর্ষাণার নিকট দুটী উচ্চ পর্বতের মধ্য দিয়া একটী ক্ষুদ্র গিরিপথ আছে, উভয় পার্শ্বস্থ পর্বত দুটির নাম দানবিলাস পর্বত এবং মানবিলাস পর্বত আর গলিপথটর নাম সঁাকরিখোর। বৃষভানু পুরীর পূর্বদিকে ভানুখোর এবং পিলুখ্যোর নামক দুইটী পার্বত্য 9У О