পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । লোকের শ্রদ্ধার হ্রাস করিয়া দিতেছে। বোধ হয়, বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণ এ সব স্থানে আগমন না করিলে, কখনই এ সকল প্ৰাচীন লুপ্ত তীৰ্থ আবিস্কৃত হইত না । গোকুল দেখিয়া অতিমাত্ৰ নৈরাশ্য সাগরে ডুবিয়াছিলাম। এখানে প্ৰাচীন চিহ্ন একরূপ কিছুই বিদ্যমান নাই, একথা বলিলেও কোনও রূপ অত্যুক্তি হয় না । পাণ্ডাঠাকুরেরা দলে দলে আমাদিগকে কবলে আনিবার চেষ্টা করিতেছিলেন-কিন্তু তঁহাদের শত শত বাক্যব্যয়েও আমাদিগকে কোনও রূপ বাক্যব্যয় করিতে না দেখিয়া, তঁাহারা ধীরে ধীরে অন্যত্র গমন করিলেন । গোকুলের অট্টালিকা সকলই আধুনিক । যে সকল প্ৰাচীন প্ৰাসাদ, ভগ্নস্তৃপ, দুর্গ ইত্যাদি দর্শন করিলাম—সে সমুদয়ের কোনটিই চারি পাঁচশত বৎসরের অধিক প্ৰাচীন বলিয়া মনে হইল না । এই সেই গোকুল—যাহার সহিত “তোমারে বধিবে যে, গোকুলে জন্মেছে সে” এই পৌরাণিক কাহিনীটি প্রচলিত আছে। প্রথমে চতুৰ্দ্দিক প্রস্তরবদ্ধ একটা জলাশয় দেখিলাম—ইহার নাম “পোতির কুণ্ড ।” এইরূপ কিম্বদন্তী প্ৰচলিত আছে যে, যে দিবস মথুরা নগরে কংসের কারাগারে দৈবকীদেবী শ্ৰীকৃষ্ণকে প্রসব করিয়াছিলেন ; সেই দিবসই নন্দ-গৃহিণী যশোদাও এ নগরে একটী কন্যা প্রসব করেন। নবপ্রসূত যশোদা এই জলাশয়ের জলে প্রসবান্তে নিজ বস্ত্ৰাদি ধৌত করিয়াছিলেন বলিয়া, ইহা হিন্দু-নরনারীর নিকট বিশেষ রমণীবৃন্দের কাছে অত্যন্ত পবিত্ৰ বলিয়া বিবেচিত হইয়া আসিতেছে। সধবা রমণীগণ নিজ নিজ সন্তানের দীর্ঘ জীবন লাভার্থ এস্থানে সুদান করিয়া থাকেন। আর বন্ধ্যা রমণীগণ সুসন্তান লাভের আশায় স্নান করেন। গোকুলে বহু ছোট ছোট দেবমন্দির আছে—দেবতাদিগের মধ্যে নন্দ, যশোদা, শ্ৰীকৃষ্ণ, বলরাম ইত্যাদি। আবার কোথাও বা দধিমন্থনদণ্ডধারিণী যশোদা মায়ির মূৰ্ত্তি, কোথাও পুতনা রাক্ষসীর বিনাশ দৃশ্যও | দর্শন করিলাম। এই সকল মূৰ্ত্তি অবশ্য পূজিতা প্ৰতিমা নহে ; লীলা স্মরণার্থগঠিত পুত্তলিকামাত্র। যাত্রীরা এই সকল দেখিয়া ব্ৰজবাসীদের পয়সা দিতে বাধ্য হন। গোকুলে অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে কেলিঘাট ও मम्ल-वgetiना चांछ ठgविथ 6यांशJ ।

  • *藏